রাত ১২:১৭,   মঙ্গলবার,   ২৩শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জের টানা বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাতের কারণে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন যুবক। শনিবার সকালে জেলার শাল্লা, দিরাই ও জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে শংকর সরকার(২৬), জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরণ গ্রামে শিপন মিয়া (৩২) ও দিরাই উপজেলায় হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মফিজ উল্লার ছেলে তাপস মিয়া (৩৫) ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৫) ।
নিউজ সুনামগঞ্জের প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যনুযায়ী জানাযায়, শনিবার সকালে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত ও সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় শাল্লা উপজেলা নারায়ণপুর গ্রামে শংকর মিয়া বাড়ি থেকে স্থানীয় শাসখাই বাজারে যাওয়ার পথে বজ্রাঘাতের ঘটনা ঘটতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান, অপরদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরণ গ্রামের কৈচাপরী এলাকার বাসিন্দা শিপন মিয়া সকালে নলুয়ার হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান, অন্যদিকে দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চিনাউরা হাওরে কাজ করতে আসা হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উজেলার তাপস মিয়া বজ্রপাতে প্রাণ হারান, এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ফরিদ মিয়া দুইটি গরু নিয়ে গাজীর খাল নামক হাওরে যান। এসময় ঝড়ের সাথে বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে দুইটি গরুসহ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার শাসখাই বাজারে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নলুয়ার হাওরে ধান কাটার সময় একজন বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন, এসময় তার একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, তাপস মিয়া দিরাইয়ে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে এসেছিলেন। আমরা তার লাশ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করেছি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, হাওরে গরু চড়ানোর সময় একজন মারা গিয়েছেন। তার লাশ পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে।