চার্জশিটে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় রায়হানের মা
নিউজসুনামগঞ্জ ডেস্ক:
সিলেটের চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলার সাত মাসের মাথায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে এক আসামীকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্যই কারাগারে রয়েছেন। এদিকে পিবিআই’র পক্ষ থেকে এ অভিযোগপত্রকে যথাযথ উল্লেখ করা হলেও পুরো সন্তুষ্ট নয় রায়হানের পরিবার।
চার্জশিট দাখিলের পর রায়হানের মা সালমা আক্তার জানান- ‘আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট না। কারণ, চার্জশিটে যে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এর বাইরেও আরো দু’তিন রায়হান হত্যায় জড়িত রয়েছেন। কারণ, ঘটনার দিন রাতে কনস্টেবল তৌহিদ মিয়ার মোবাইল থেকে টাকা চেয়ে ফোনকল আসে। সে যদি জড়িত না থাকে তাহলে কল আসে কিভাবে। এছাড়া আরও পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত আছেন।’
এ অবস্থায় চার্জশিটে নারাজি দেবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চার্জশিট মাত্র দেয়া হলো। এটা আদালতে জমা হবে। চার্জশিটের কপি হাতে পাওয়ার পর আইনজীবীর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সকালে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে ১৯৬২ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই। পরে, সংবাদ সম্মেলন পিবিআই জানায়, মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এএস আই আশেক ই এলাহি, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এস আই হাসান উদ্দিন ও কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে।
এদের মধ্যে নির্যাতনে সরাসরি জড়িত ছিলো এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এএস আই আশেক ই এলাহি, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। এছাড়া এসআই হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে আসামিকে পালাতে সহায়তা ও নোমানের বিরুদ্ধে আলামত নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে নগরীর কাষ্টঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েকঘন্টা নির্যাতন করা হয়।
চার্জশিটে অভিযুক্ত ৫ পুলিশ সদস্যই কারাগারে রয়েছেন। ১৬৪ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন ১০জন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছে।
সূত্র:সিলেটভয়েস