ভোর ৫:১৮,   বুধবার,   ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৯ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে প্রতিপক্ষর হামলার শিকার ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইয়ের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার ৭দিন পর হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম (৪০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঈদের আগেরদিন বৃহস্পতিবার ইফতারের পূর্বমূহুর্তে তার উপর হামলা চালায় চাচাতো ভাই দবির ও তার স্ত্রী সহ লোকজন।
হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম পৌরসভার নোয়ারাই মহল্লার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র। হামলার পরপরই হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ছিলেন ৭ দিন। এর মধ্যে কখনো তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। বুধবার তাকে আবারো সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
আজ দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম। তার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন ছাতক পৌরসভার কাউন্সিলর লিয়াকত আলী।
মোস্তফা আনোয়ার এনামের ভাই মোস্তফা দেলোয়ার পারভেজ জানান, তার ব্যবসায়ী ভাই হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম সিলেটে বসবাস করতেন। পরিবারের সকলের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। ঈদের আগের দিন ইফতারের পূর্বে ইফতারি ও বাজার নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন তিনি। ঘরের পাশে আসলে চাচাতো ভাই দবির মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম তাকে লক্ষ্য করে তার উপর নোংরা পানি ফেলে দেয়। এ নিয়ে দবির ও দবিরের স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় এনামের। এসময় দবির মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম সহ তাদের সহযোগীরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে আহত করে হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পার্কভিউ হাসপাতালে ৭দিন আইসিইউ-তে থাকার পর বৃহস্পতিবার (২০মে) তার মৃত্যু হয়। হামলার ঘটনার পর মোস্তফা আনোয়ার এনামের অপর ভাই মোস্তফা জুবায়ের বাদী হয়ে ছাতক থানায় ৯জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় মৃত নূর মিয়ার পুত্র রকিব মিয়া ও কবির মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ মামলার অন্যান্য আসামী দবির মিয়া, তার স্ত্রী লাভলী বেগম, শিহাব মিয়া, মিশু, শরীফ, জমির মোল্লা, শিউলী পলাতক রয়েছে।