দুপুর ১:৩৩,   শনিবার,   ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছয় লেনে যুক্তসহ দাবি আদায়েপ্রয়োজন ইস্পাত কঠিন ঐক্য- পীর মিসবাহ

স্টাফ রিপোর্টার:
ট্রাফিক পয়েন্টের গণসমাবশে সুনামগঞ্জ-৪ আসনেরএমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জেলার সকল এমপিদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আসুন আমরাসবাই মিলে অধিকার আদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই। প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জের উন্নয়নেরব্যাপারে উদার। তিনি আমাদের কখনো খালিহাতে ফিরিয়ে দেননি। ঢাকা-সিলেট৬ লেন সড়কের সঙ্গে এবার সুনামগঞ্জ যুক্ত না হলে আর কোনদিন যুক্ত হবে না। তাই দাবি আদায়েইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলা এখন সময়ের দাবি। একইসঙ্গে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধেহুঁসিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, প্রনধানমন্ত্রীরবরাদ্দ আর জনগণের সম্পদ নিয়ে আর রাজা-রানীর খেলা চলতে দেওয়া হবে না। যেখানে দুর্নীতিহবে সেখানেই জগণের কাছে জবাব দিতে হবে। বৃহস্পতিবার(১১ মার্চ) বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের সাথে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কঅর্ন্তভুক্ত ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎক সংকট দূর করার দাবিতে ‘সুনামগঞ্জবাসী’আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অধিকারআদায়ের এই সমাবেশে সুনামগঞ্জ সদর ও বিম্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খ- খ-মিছিল নিয়ে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। পীরমিসবাহ আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেট বিভাগের উন্নয়নে ৬ লেন মহাসড়ক করার জন্য১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা যদি এই প্রকল্প সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসতেঐক্যবদ্ধভাবে তার কাছে চাইতাম, তবে তিনি অবশ্যই আমাদের দাবি পূরণ করতেন। মাননীয়পরিকল্পনামন্ত্রীর এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিল, জানি না তিনি কী করেছেন।ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হলে সিলেট বিভাগের তিনিটি জেলার এর সাথে যুক্ত হবে।কিন্ত আমরা এর বাইরে থেকে যাব। এখনই সময় বিষয়টি মাননীয় প্রধানন্ত্রীর সামনে তুলে ধরার। জেলারস্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, জেলার ৩০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তির একমাত্র জায়গা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার, নার্স ও টেকনেশিয়ানেরপদগুলো শূন্য। ৬০ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ১৪ জন রয়েছেন হাসপাতালটিতে। এতে মানুষ চিকিৎসাসেবাপাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমি সংসদে, সংসদের বাইরে এ নিয়ে কথা বলেছি। কোনলাভ হয় নাই। হাসপাতালটিতে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি থাকার পরও জনবলের অভাবে সেবাপাচ্ছে না মানুষ। জরুরিভিত্তিতে ডাক্তার-নার্স নিয়োগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এখনই পদক্ষেপ নিতেহবে। সেইসাথে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চালু করতেহবে। এতে করে ডাক্তার সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি সেটি অন্যএকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে, এটা বন্ধ করতে হবে। জেলায়চলমান ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার কৃষকের বছরের একটি মাত্র ফসল রক্ষাকরতে ১৩৩ কোটি টাকার বিশাল বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ,নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিময়-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আসছে সংশ্লিষ্ট অনেকের বিরুদ্ধে।কারো অবহেলা কিংবা দুর্নীতির কারণে মানুষের সোনার ফসল যদি পানির নিচে তলিয়ে যায়, তবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পীরমিসবাহ আরো বলেন, নদী ভাঙন রোধে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের করতে হবে। অনেক স্থানে মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভেবিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিল খনন কাজে অনিয়মদুর্নীতি করে রাজা-রানীর খেলা চলছে। সেটিরবিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁরনির্বাচনী এলাকা হালুয়ারঘাট ও চলতি নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি। তিনিআরো বলেন, ছাতক থেকে দোয়ারাবাজার হয়ে রেল লাইন স্থাপনের যে সার্ভে চলছে যেটি যেনজায়গায় থাকে। অন্য কোনদিকে ঘুরিয়ে এতে যেন ব্যাঘাত সৃষ্টি না করা হয়। সুনামগঞ্জসদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সজ্জাদুর রহমান সাজুর সঞ্চালনায় গণসমাবেশেঅন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সাইফুর রহমান সামছু,সুনামগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোশনূর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানআব্দুর রহমান মাস্টার, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান,জেলা জাপা নেতা রশিদ আহমদ, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুলহোসেন, জেলা জাপার সদস্য সচিব ও সাবেক প্যানেল মেয়র মনির উদ্দিন মনির, মোহনপুর ইউপিচেয়ারম্যান নূরুল হক, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলার পেয়ারা বেগম প্রমুখ।