বিকাল ৩:২৯,   মঙ্গলবার,   ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৮শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে মাস্ক ব্যবহার করছে না অধিকাংশ মানুষ

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সম্প্রতি ফের দেশজুড়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ শঙ্কা রয়েছে সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায়। এখানে স্বাস্থ্যবিধি নামছেন না কেউই। বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক ছাড়াই বাহিরে অবাধে চলাফেরা করছেন। ফলে করোনার ঝুঁকি বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জগন্নাথপুরের প্রধান বাণিজ্যিককেন্দ্র জগন্নাথপুর পৌরশহরের সদরের জগন্নাথপুর বাজারের বিভিন্ন স্থানে বেশিরভাগ মানুষকে দেখা গেছে মাস্কহীন অবস্থায়। তারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে গা ঘেঁষে চলাচল করছেন জনসাধারণ। স্বাস্থ্যবিধি কিংবা শারীরিক দূরত্ব মানছেন না কেউ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলছি বছরের মার্চে দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। সংক্রমণ এড়াতে সারাদেশে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। জুলাইয়ে লকডাউন শেষ হয়। ওই সময়ের এপ্রিল মাসে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক তরূণ প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হন। যার ধারাবাহিতায় জগন্নাথপুরে ১৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭১ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ৮ জন। চলতি সপ্তাহে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এঅবস্থায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এরমধ্যে সারাদেশের ন্যায় জগন্নাথপুরেও প্রশাসনের উদ্যেগে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত মাধ্যমে জনসচেতনামূলক প্রচারণার করা হচ্ছে। তবুও অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুদন ধর বলেন, শীতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য এজন্য এখনই স্বাস্হ্যবিধি চলতে হবে।
তিনি জানান, জগন্নাথপুরে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১৭৯জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭১জন। ৮জন আইসোলেশনে আছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, স্বাস্হ্যবিধি এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে আমরা মাঠ কাজ করছি।