সকাল ১১:১৬,   মঙ্গলবার,   ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৯ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে ২০ দিনের ব্যবধানে করোনা উপসর্গে তিন জনের মৃত্যু

রেজুওয়ান কোরেশী,জগন্নাথপুর:
জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২০ দিনের ব্যবধানে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামের ৫ টি বাড়ি লকডাউন করে গ্রামের ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হয়।
এলাকাবাসী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায় গত ৪ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে আটঘর গ্রামের যুবক লিতু খান (৩০) মারা যান। ২০ দিনের মধ্যে গত বুধবার রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে তার মা হায়ারুনেছা (৬৫) মারা যান। মঙ্গলবার করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান একই গ্রামের নুর উদ্দিন (৬৫)। তার পরিবারের আরও চারজন করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে আছেন।

মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বার) খলিল মিয়া জানান, আটঘর গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে আমরা চিন্তিত। ২০ দিনের ব্যবধানে এক পরিবারের মা-ছেলে ও একই গ্রামের নুর উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক রয়েছে। তারপরও সচেতনতার অভাবে অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। তিনি বলেন স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামের প্রতিঘরে ঘরে গিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঠ কর্মী (মীরপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা) জীবন বণিক জানান,করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লিতু খানের মা সহ পরিবারের সদস্যদের করোনা নেগেটিভ ছিল। এছাড়াও মারা যাওয়া নুর উদ্দিনের পরিবারের চারজন করোনা পজিটিভ হলেও তাঁর করোনা নেগেটিভ ছিল। আটঘর গ্রামে আমাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মধুসূধন ধর বলেন, আটঘর গ্রামে করোনা উপসর্গের বিষয়টি নজরে এলে আমরা ৫টি পরিবার কে লকডাউন করেছি। এছাড়াও গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালিয়েছি। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। আমরা আটঘর গ্রামে গিয়ে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালিয়ে এসেছি।