তাহিরপুরে নদীতে নিয়োজিত সেন্ট্রিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
শওকত হাসান, তাহিরপুর:
তাহিরপুরের পাটলাই নদীতে নৌকার মাঝি ও তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক সমিতির নিয়োজিত সেন্ট্রিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
শুক্রবার (২৮জানুয়ারি) সকাল ৮টায় পাটলাই নদীতে নিয়োজিত সেন্ট্রিরা নৌকার মাঝিদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে।
এতে আহত হন, সুনামগঞ্জ জেলা নৌযান শ্রমিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আশ্রাফুল আলম, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার খলিল মিয়া ও তাজ উদ্দিন। তারা তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাটলাই নদীর নৌকার মাঝিরা একত্রিত হয়ে সেন্ট্রিদের বিচার চাই ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে তাহিরপুর বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল সহকারে তারা তাহিরপুর থানায় যেতে চাইলে মিছিলকারীদের উপর পুলিশের ধাওয়া ও লাটি চার্জে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।তবে এতে কেই হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
মিছিলে নেতৃত্বদানকারী সুনামগঞ্জ জেলা নৌযান শ্রমিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পাটলাই নদীতে সেন্ট্রিদের চাঁদাবাজি বন্দে ও আমাদের শ্রমিকদের উপর হামলার বিচারের দাবীতে আমরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাহিরপুর থানায় যেতে চেয়েচিলাম। কিন্তু পুলিশের ধাওয়ায় আমাদের মিছিলের অংশগ্রহণকারী লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পাটলাই নদী তীরবর্তী সুলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, পাটলাই নদীতে তাহিরপুর কয়লা চুনাপাথর আমদানীকারক সমিতির নিয়োজিত সেন্ট্রিরা অন্যায়ভাবে বাজিতপুরের নৌকার মাঝিদের মারধর করেছে।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, নৌ-যান মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে থানায় আলোচনায় বসছি।
উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে পাটলাই নদী নাব্যতা সংকটে নৌচলাচলের বিঘ্নতা ঘটে। ফলে নদীতে নৌজট শুরু হয়।