দুপুর ১২:৩৭,   বুধবার,   ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

তাহিরপুর সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান

তাহিরপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তে বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আহত শিশুর মৃত্যু হয়েছে এ গুজবকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছিল তা স্থানীয় ভাবে বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে শাহিদাবাদ বর্ডার হাট সংলগ্ন, শাহ্ আরেফিন মোকাম প্রাঙ্গণে এ বৈঠকে উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি’র উর্ধতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বৈঠকে নিঃশর্ত সমাধান আসে।
বৈঠকে ভবিষ্যতে যেন সীমান্ত এলাকায় এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত না ঘটে সে জন্য উভয় পক্ষকেই আরও অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলা হয়।
এদিকে আহত শিশু সুমনকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং সে শঙ্কামুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ, বাদাঘাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন।
সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মো. মেসবাহ্ উদ্দিন রাসেল, সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান, তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার, লাউড়েরগড় সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আ. রাজ্জাক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলম সাব্বির, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়াসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত ৭ টার দিকে সীমান্তের শাহিদাবাদ বর্ডার হাট সংলগ্ন এলাকায় বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটির সূত্রপাত হয় আহত শিশু বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়ন এর মুকসেদ পুর(উত্তর) গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সুমন (৮) কে নিয়ে।
যদিও আহত শিশু সুমন জ্ঞান হারায় কিন্তু তৎক্ষনিক বিজির আঘাতে সে মারা গেছে বলে গুজব ছড়ালে উত্তেজিত এলাকাবাসী মিছিল করতে থাকে এবং বিজিবি কিছু বুঝে উঠার আগেই বিজিবির গোয়েন্দা কর্মকর্তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এমন সময় টহলরত সিপাহি আরজু এগিয়ে আসলে উত্তেজিত জনতা তাকে লক্ষ্য করেও পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে টহলরত বিজিবির অন্যান্য সদস্যরাও এগিয়ে আসে। শুরু হয় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া। এসময় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজিবিকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আ. রাজ্জাক এসএমজি’র ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করেন।