সন্ধ্যা ৭:২৯,   শনিবার,   ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মপাশায় মসজিদের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি:
ধর্মপাশায় আবু তালেব নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্মপাশা বাজার জামে মসজিদের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। আবু তালেব ধর্মপাশা সদরের নতুনপাড়ার বাসিন্দা। উল্টো ওই ব্যক্তি বাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী ওরফে শফিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘর নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন।
বুধবার দুপুর ২টায় বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে আবু তালেবের বিরুদ্ধে আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা ও মসজিদের জায়গা দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে মসজিদ কমিটি ও সর্বস্তরের মুসুল্লিরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাজার জামে মসজিদের পশ্চিমে আবু তালেবের তিন শতক ক্রয়কৃত ভূমি রয়েছে। ওই ভূমিতে আবু তালেব টিনশ্যাড ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে আসছিলেন। তখন আবু তালেবের ঘর ও মসজিদের মধ্যে থাকা দুই আড়াই ফুট ফাঁকা জায়গা মসজিদের বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত হতো। বছর দুয়েক আগে আবু তালেব তার টিনশ্যাড ঘর ভেঙে ওই ভূমিতে আধাপাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আর এ কাজ করতে গিয়ে আবু তালেব মসজিদের একটি দেওয়াল ভেঙে ফেললে মসজিদের মোয়াজ্জিন বাধা দিলে মোয়াজ্জিনের সাথে তিনি (তালেব) খারাপ আচরণ করেন। আবু তাবেল জায়গা পরিমাপ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা চান। পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করালে আবু তালেবের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জায়গা দখলের সত্যতা পান এবং তাকে স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। কিন্তু আবু তালেব স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করেও থেমে যান এবং শফিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে গৃহ নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আদালতে মামলা করেন। পরে স্থানীয় সাংসদ বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করলে আবু তালেব মামলা তুলেন নেন। এতেও বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে গত ২ ফেব্রæয়ারি আবু তালেব পুনরায় শফিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
মানববন্ধনে সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদ সদস্য জুবায়ের পাশা হিমুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম আযহারুল ইসলাম দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ইমাম মাওলানা বজলুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান, মুজিবুর রহমান মজুমদার, আব্দুল হক প্রমুখ।
অভিযুক্ত আবু তালেব বলেন,আমি মসজিদের জায়গা দখল করিনি আর মসজিদের সাথে আমার কোনো ঝামেলা নাই। বিষয়টি ব্যক্তি কেন্দ্রীক। উনি (শফিক) এই জায়গাটি কিনতে চেয়িছিলেন। তা করতে না পেরে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তার ব্যবসায়ী স্বার্থে নদী থেকে মালামাল আনা নেওয়ার জন্য এমনটি করছেন।