বিকাল ৫:১৬,   শনিবার,   ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নির্মাণাধীন সেতুর গার্ডার ধস ‘দুঃখজনক’- সেতু সচিব

রেজুওয়ান কোরেশী,জগন্নাথপুর:
পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি-আঞ্চলিক মহাসড়কের কুন্দানালা গ্রামের গার্ডার ধসে যাওয়া সেতু পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম।
শুক্রবার তিনি প্রথমে সুনামগঞ্জের ধসে যাওয়া কোন্দানালা সেতু পরিদর্শন করেন। এ সময় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী উৎফল সামন্ত, সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর ওপর রানীগঞ্জ সেতু পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিক ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আঞ্চলিক এ মহাসড়কের কুন্দানালা সেতুটির গার্ডার ধসের ঘটনার পর পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি বলেন, সেতু ধসে পড়ার ঘটনা দুঃখজনক। গার্ডার বসানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তবে তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব না।
তিনি এ নিয়ে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ায় আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেতুগুলোর কাজের মান নিশ্চিতে আরো তদারকি বাড়ানো হবে।উল্লেখ্য, পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাগলা পয়েন্ট থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ পর্যন্ত সাতটি পিসি গার্ডার সেতু ও একটি বক্স গার্ডার সেতুর কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স সেতুগুলোর কাজ বাস্তবায়ন করছে। গত রবিবার রাতে হঠাৎ করে কোন্দানালা সেতুর গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাকের (ক্রেন) পাইপ ফেটে একটি গার্ডার আরেকটি ওপর পড়ে গিয়ে সেতুর ৫টি গার্ডার ধসে পড়ে। এরপর থেকে এলাকাবাসী নিম্নমানের কাজের কারণে সেতু ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন। সেতু ধসের ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে আর অপরটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেনকে প্রধান করা হয়।
অপরদিকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সেতু ও ডিজাইন বিভাগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শিশির কুমার রাউতকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপর তদন্ত কমিটি এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি।