বিকাল ৩:২৬,   রবিবার,   ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন ও কর্মের র্চচা করে নতুন প্রজন্মকে আদর্শ চরিত্রবান দেশপ্রেমীক হতে হবে-বিবিপিপিএফ

বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপুলস ফোরাম (বিবিপিপিএফ) নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। ত্রি-দেশীয় এ আলোচনা সভায় তিন দেশের জনগনের কল্যণে বিশেষ করে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে একত্রে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন ও কর্মের র্চচা করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়।
বিবিপিপিএফ ঢাকা চ্যাপটারের সদস্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আহমেদ পারভেজ জাবীন বলেন, দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন সৎ, কর্তব্যপরায়ন ও দেশ মৃত্তিকার স্বাধীনতার জন্য সদা আত্মবলীদানে প্রস্তুত প্রাণ, আজন্ম বিপ্লবী। তিনি ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা ব্যতীত অন্যকিছু চাননি, নেতাজি বিশ্বাস করতেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র আন্দোলন করতে হবে। তাই নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ ও আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, স্বাধীতা অর্জনের কৌশল হিসাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অশ্বশক্তির সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। এজন্যই বৃটিশ ভারত ছাড়তে অনেকটা বাধ্য হয়, যদিও তিনি স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি।


সভার সভাপতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের কৃষাণ নেতা ড. সুনিলাম বলেন নেতাজি কংগ্রেস পাটিতে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন। কিন্তু, আদর্শগত দ্বন্দের কারণে ও গান্ধী-প্যাটেল-নেহেরু-সীতারামাইয়া ষড়যন্ত্রের কারণে কংগ্রেস পাটির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নেতাজি সুভাষ বসু আল ইন্দিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থ্যা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও নারীমুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। ভার্চয়াল সভাটি সঞ্চালনা করেন বিবিপিপিএফ-এর ত্রি-দেশীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদিকা পশ্চিম বঙ্গের গোপা মুখার্জি, তিনি সঞ্চালনাকালে বলেন তরুণদের নেতাজির রংপুর, লন্ডন, টোকিও ও ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠাকালীন ভাষণসহ সমুদয় ভাষণ পড়াতে হবে তাহলে তারা নেতাজির উপদেশ অনুসরণ করে আদর্শ দেশপ্রেমিক হতে পারবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি