রাত ১২:৫৩,   মঙ্গলবার,   ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের সামনেই ইজারাবিহীন নদী থেকে লুট হচ্ছে বালু পাথর

স্টাফ রিপোর্টার:

সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান নদী থেকে অবাধে শত শত নৌকা দিয়ে দিনে দুপুরে বালু পাথর আহরণ করছে স্থানীয় একটি চক্র।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের সাহেববাড়ি ঘাট এলাকায় একপারে নোঙ্গর করা একটি স্টিলের নৌকায় পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা বসে আছেন।
আর নদীর ওপারে সদরগড় গ্রাম এলাকায় ঘাটে বেধে রাখা বড় বড় বাল্কহেড গুলো অবৈধ বালুর পাথর বোঝাই করছে।
সেই সাথে পুলিশ প্রশাসনের সামনে ধোপাজান নদী থেকে বালু-পাথর লুট করে সরকারের রাজস্ব প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।

এমনকি ইজারাবিহীন এই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু পাথর উত্তোলন করায় নদীর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম।

সদরগড় এলাকার বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে ইজারাবিহীন এই নদী থেকে বালু পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র অথচ প্রশাসনের কোনোও নজর দাঁড়ি নেই।

অক্ষয়নগর এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আগে ভাবতাম মনে হয় আওয়ামী লীগের সরকারের লোকজন প্রভাব কাটিয়ে এই নদী থেকে বালু পাথর উত্তোলন করছে সে জন্য পুলিশ কিছু বলছে না। এখন কারা ইজারাবিহীন এই নদী লুট করছে। আশা করি পুলিশ কিংবা জেলা প্রশাসন এই দিকে নজর দিবে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল আহাদ জানান,আমরা নদী গুলোতে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করার চেষ্টা করছি। তবে কোনোও পুলিশ সদস্য এই কাজের সাথে জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার এম এন মোর্শেদ বলেন, ইজারাবিহীন নদী থেকে কেউ বালু কিংবা পাথর উত্তোলন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন,ধোপাজান ইজারাবিহীন নদীতে বালু আহরণ নিষিদ্ধ। কেউ অবৈধ ভাবে বালু পাথর আহরণ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।