সকাল ৭:০৩,   রবিবার,   ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার্তদের পাশে সিলেট বিভাগ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার:

সুনামগঞ্জে বন্যায় বিপর্যস্ত অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সিলেট বিভাগ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদ, সংযুক্ত আরব আমিরাত নামের একটি সংগঠন।

শনিবার ( ২৯ জুন ) বিকালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে শতাধিক মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

এসময় সিলেট বিভাগ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম দুলন চৌধুরী ও ছাদিকুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও রাশাদ মিয়া চৌধুরী, শালীস ব্যক্তিত্ব সিতারা মিয়া চৌধুরী, আশরাফ মিয়া চৌধুরী, কুতুবপুর জামে মসজিদের ইমাম লোকমান হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর গ্রামের আশক মিয়া, আব্দুল মতিন,মিটন মিয়া চৌধুরী,দুবাই প্রবাসী সায়েম আহমেদ, ওমান প্রবাসী কবির আহমেদসহ অত্র গ্রামের মুরুব্বিগণ।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ যখন বন্যায় বিপর্যস্ত, দুর্ভোগ আর ক্ষুধার জ্বালায় বানভাসি মানুষের হাহাকার করছে, ঠিক তখনই সিলেট বিভাগ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা আব্দুল হাদিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান ( মুহিব), কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সদস্য শাহিন আহমেদ তালুকদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল দোলন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মির্জা আবু সুফিয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রহমত আলীর অর্থায়নে দুর্গত মানুষদের মধ্যে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

খাদ্যসামগ্রী পেয়ে কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা লাইলী বেগম (৫৫) বলেন, আমাদের গ্রাম শহরের পাশে, তবু বন্যায় আমার বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের নিয়ে বড় বিপদও ছিলাম। কিন্ত আমাদেরকে কেউ কোনো সহযোগিতা করেনি। আজ তারা এই সাহায্য দেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে।

গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সদস্য তাজুল মিয়া  (৬০)। খাদ্যসামগ্রী হাতে পেয়ে খুশি। তিনি বলেন, এতো বড় বন্যা গেলো এই প্রথম সাহায্য (খাদ্যসামগ্রী ) পেলেম। এতো দিন থেকে কাজ কাম নেই, খুব অভাবে দিন যাচ্ছে। দিনে একবেলা খেয়েছি মাত্র। এই খাবার গুলো পেয়ে বাড়ির বাচ্চারা খুশি হবে। 

সিলেট বিভাগ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম দুলন চৌধুরী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা সবার কাছে অনুরোধ করি, যারা যে জায়গায় ভালো অবস্থানে আছেন, সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগীতা করলে বন্যার্তরা ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে।