রাত ৯:২২,   শনিবার,   ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাঁধের কাজ সঠিক সময়ে শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার:
হাওরে ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ সঠিক সময়ে শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন।

বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে শহরের মুক্তারপাড়া এলাকায় সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন বলেন, আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মান কাজ ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা আমাদের সকল উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ও আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে বুঝতে পারছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি। নির্ধারিত সময় শেষে ১০ দিন বাড়িয়ে ১০ মার্চ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময়েও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। হাওরে অধিকাংশ বাঁধে মাটির কাজ শেষ হলেও দুরমুজ, স্লোপ ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হয়নি। তার মানে এখন পর্যন্ত হাওরে ৬০-৬৫ ভাগ কাজ হয়েছে। পিআইসির কাজ অনুযায়ী বিল পরিশোধ না করার কারণে এখন পর্যন্ত হাওর অরক্ষিত রয়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বাঁধে মাটির কাজ করতে দেখা গেছে। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় দিন কাঠাচ্ছেন হাওরের কৃষকরা। আমরা হাওর বাঁচাও আন্দোলন দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। এবং কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি ১৫ ডিসেম্বর আপনাদের নিয়ে যেভাবে বাঁধের কাজ শুরু করেছিলেন সেভাবে আপনাদের আবার নিয়ে বাঁধের শত ভাগ কাজ সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এবার বাঁধের কাজে শুরু থেকেই একধরনের ঢিলেমি লক্ষ করা গেছে। মাঠপর্যায়ে গণশুনানি করে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের দাবি থাকলেও, সেটি করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবে পিআইসি গঠন করা হয়। এতে প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তাদের একটা যোগসাজশ থাকে। যে কারণে ওই ব্যক্তিরা কাজে গাফিলতি করেন। আমরা মনে করি কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকের হাওরের ধানকে হুমকির মূখে ফেলে দিয়েছেন। এবার কৃষকের ধান ঘোলায় তুলতে কোন সমস্যা হলে এর দায় কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিকেই নিতে হবে।

তিনি জানান, শাল্লা উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধের প্রকল্প গ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ এনে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী। জনশ্রোতি রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমঝোঁতা করেছে কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি। সব মিলিয়ে বাঁধকে কেন্দ্র করে দুনীর্তির একটি মহোৎসব চলছে জেলার প্রতিটি উপজেলায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অলিউডর রহমান চৌধুরী বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলী হায়দার, চন্দন রায়, সদস্য এম আর শামিম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।