সন্ধ্যা ৭:২৭,   মঙ্গলবার,   ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৮শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে এক সাংসদ বিভ্রান্তি চালাচ্ছেন : পরিকল্পনামন্ত্রী

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে একজন সাংসদ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি সুনামগঞ্জ সদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের কল্যানে সুনামগঞ্জ-৪ আসন ছেড়ে দেওয়ার কারনে জাতীয় পার্টি থেকে সাংসদ হয়ে নিজে বিশ্ববিদ্যালয় এনেছেন সদরের মানুষকে বুঝিয়ে বাহবা নিতে চান তিনি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনি কোন কাজ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাব করেছি। ওই এলাকায় সুনামগঞ্জের ২৫ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ লাখ মানুষের সুবিধা। এছাড়াও কোন ফসিল জমি নষ্ট হবে না। মাটির খরচ হবে কম। এসব বিবেচনায় আমরা কাজ করছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
সোমবার বিকেলে অনলাইনে জুমের মাধ্যমে জগন্নাথপুর পৌর সভায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ওভারহেড ট্যাংক ও ড্রেনেজ কাজের উদ্বোধন ও গভীর নলকূপ টুইন-পিট ল্যাট্রিন বিতরণী সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান এর সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রিপন এর পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, পরিকল্পনা মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইন, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া, জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র সফিকুল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফরোজ ইসলাম প্রমুখ।
সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফুটানো লক্ষ্য কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের পিছিয়ে থাকা অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মুল স্রোতধারায় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন আমি হাওরের মানুষ। ছোট বেলায় দেখছি হাওরের মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে কত কষ্ট করেছেন তাই হাওর এলাকার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে দেশে পানির সংকট থাকবে না।গ্রামে গ্রামে আমরা পানি পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেছি। পরে জগন্নাথপুর পৌর সভার সামনে একটি ফলক লাগানো হয়।