বিকাল ৫:৫২,   শনিবার,   ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভাঙলো আরও কয়েকটি বাঁধ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের মেঘালয় থেলে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার আরও ৫ টি ফসল রক্ষা ভেঙে গেছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধার আগ মূহুর্তে ঢলের পানিতে শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলার ৫টি বাঁধ উপচে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উপচে ঢুকার কিছু সময় পরেই বাঁধ গুলো ধীরে ধীরে ভাঙতে থাকে।
এতে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
বিষয়টি যৌথভাবে নিশ্চিত করেছেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান।

জানাযায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ৭৫ নম্বর প্রকল্পের ডুবাইল বরুণ কাইচ্ছা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধার কিছু সময় আগে এ বাঁধ ভেঙে যায়। একইদিনে গুরমার হাওরের ১১৫ নম্বর প্রকল্পের অধীনে স্লুইসগেট দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এছাড়াও সোনামড়ল হাওরের ৫৪ নম্বর প্রকল্পের বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে জয়শ্রী ইউনিয়নের কয়রানী হাওরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

গত সোমবার বিকেলে ধর্মপাশা কংস নদীর পানি শয়তানখালী খাল হয়ে রুইবিল, কাইল্যানী, বুন্না, নয়াবিল ও ডুলিজার হাওরের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে।

পরে স্থানীয়রা ওই খালের নোয়াবন্দ-আবুয়ারচর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে বাঁধ দিয়ে তা প্রতিরোধ করে।
অপরদিকে রাতেই সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রাম সংলগ্ন অরক্ষিত স্লুইসগেট হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকলে স্থানীয়রা তা প্রতিরোধ করে।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, অভারফ্লো হয়ে বাঁধে পানি প্রবেশ করেছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরে জানাতে পারবো।

অন্যদিকে শাল্লা উপজেলার কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। এই দুই হাওরে ৪০ হেক্টর ফসলী জমি নিমিষেই তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে ।

আজ বিকেলের দিকে এ বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ করে। তবে এই বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো’র) আওতার বাহিরে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আবু তালেব জানান, কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে প্রায় ৪০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এই বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতার বাহিরে। এরপরও আমরা চেষ্টা করেছি ফসলী জমি রক্ষা করার। কিন্তু উজানের পাহাড়ী ঢল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।