বিকাল ৫:২৩,   শনিবার,   ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিউজসুনামগঞ্জ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অ-মুক্তিযোদ্ধাদের বাতিলের দাতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দগণ অংশ নেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খসরু ওয়াহিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রৌজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলখাস মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকসেদ আলী, বীর মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান খেলু, এমাদ আহমদ জয় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৭ জানুয়ারী তাহিরপুর উপজেলার ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলার ৭ জন অমুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী ঢাকা বরাবরে দাখিল করা হয়। উক্ত অভিযোগটি ৩০ জানুয়ারী যাচাই বাছাইয়ের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক ৩০ জুনায়ারী ইউএনও পদ্মাসন সিংহের সভাপতিত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট যাচাই বাছাই কমিটি উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে উপজেলা গণমিলনায়তন কেন্দ্রে গণশুনানীতে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ৭জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই বাছাইয়ের সময় তাদের পক্ষে কোন স্বাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বক্তারা আরো বলেন, অভিযুক্ত ৭জন অ-মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিলসহ ভাতাদি বন্ধের আহবান জানান তারা, অন্যতায় তারা কঠোর কর্মসূচী দিবেন বলে হুশিয়ারি দেন।
মানববন্ধন শেষে তারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল মহাপরিচালক বরাবরে ও দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন।
বক্তারা আব্দুল মজিদ (নয়ানগর), তাজুল ইসলাম (পৈলনপুর), আব্দুল কাদির (মানিগাঁও), আব্দুল মন্নান (ব্রাম্মনগাঁও), জলিল খাঁন (বড়ছড়া), মতিউর রহমান (নাগরপুর), আব্দুল মন্নান(পৈন্ডুপ) সহ মোট সাতজনকে অ-মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন।