সকাল ৯:৪২,   রবিবার,   ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

লাল রঙে সেজেছে দেশের সর্ববৃহৎ শিমুল বাগান

স্টাফ রিপোর্টার:
বসন্তের ফাগুন রাঙা রঙে প্রকৃতি তার মনের মাধুরী মিশিয়ে শিমুল ফুলের লাল রঙে আপন মহিমায় সেজেছে জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান। মাঘের শেষ দিকে ও ফাল্গুনের শুরুর দিকে ফুটতে থাকে শিমুল ফুল। ফাগুনের আগুন রাঙা রঙে লাল হয়ে আছে বাগান।
যে দিকে চোখ যায় সে দিকেই লাল শিমুল ফুল। দেশের সবচেয়ে বড় এই শিমুল বাগান ইতি মধ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশী পর্যটকদেরও নজড় কেড়েছে। বিশেষ করে বাঙালি প্রবাসীরা এই শিমুল বাগানের চিত্র দেখে মুগ্ধ হয়ে দেশে আসলেই ঘুরতে যাচ্ছেন শিমুল বাগানে।


সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মানি গাঁও এ ২০০০ সালে ১০০ বিগা জমির মধ্যে ৩ হাজার শিমুল গাছ লাগিয়ে এ বাগানটি গড়ে তুলেন বাধাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন। বর্তমানে তার ছেলে মেয়েরা এই বাগানটির দেখা শুনা করছেন।
দেশি বিদেশী পর্যটক মিলে প্রতিদিন প্রায় ১হাজার লোকের সমাগম হয় বাগানে। জন প্রতি ২০ টাকা করে টিকেট কেটে বাগানে প্রবেশ করতে হয়। দলে দলে পর্যটকরা আসছেন বসন্তের শিমুল রঙে মনকে রাঙিয়ে নিতে। কেউ আসছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেউবা আসছেন বন্ধু বান্ধব বা প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিমুল বাগানে রয়েছে কিছু বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে ঘোড়ায় চড়ে বাগান দেখার সুযোগ। আবার কেউবা চড়ছেন নাগর দোলনায়। প্রিয় মূহুতের স্মৃতি ধরের রাখার জন্য ফ্রেইম বন্দি করতে শিমুল ফুল দিয়ে তৈরী লাভের (ভালবাসার প্রতিক) ভিতরে ছবি বসে প্রিয়জনকে নিয়ে ছবি তুলছেন। মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। পাখির কলতানে যেন এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিরাজ করছে শিমুল বাগানে।

বিশেষ করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও বসন্ত উদযাপনের জন্য দূররান্ত থেকে মানুুষ ছুটে আসছেন। শিমুল বাগানে এসে ভারত থেকে নেমে আসা যাদুকাটার নদীর সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারছেন পর্যটকরা।
তবে বাগানে খাওয়া দাওয়া অব কাঠামো গত সুযোগ সুবিধা না থাকায় দর্শনার্থীরা পড়ছেন বিপাকে।
সিলেট থেকে আসা পর্যটক সাদিয়া রহমান লিরা বলেন, বতন্তের শুরুতে শিমুল বাগানে আসতে পেরে অনেক ভাল লাগছে। এর আগে আমি শিমুল ফুল দেখি নি। সিলেটে অনেক দিন ধরে থাকা হলেও শিমুল বাগানে আসা হয় নি। রাস্তায় একটু দুভোর্গ পোহাতে হলেও শিমুল বাগানে ঢুকার সে গুলো ভুলে গেছি। আমরা কয়েক বন্ধুরা মিলে এসেছি অনেক ভাল লাগছে।
বিআরটিএর কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম রাসেল বলেন, অনেক দিন হলো কোভিডের কারণে কোথাও যাওয়া হয় নি। তাই দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান দেখতে আসলাম। অনেক ভাল লাগছে। তবে বাগানের পর্যটকদের জন্য আরও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার।

ব্যাংক কর্মকর্তা হিরক তালুকদার বলেন, অনেক ধরে মাথায় ছিল যে শিমুল বাগান দেখতে যাবও। কিন্ত সময় ও সুযোগের অভাবে আসা হয় না। পরিবার নিয়ে আসতে পেওে অনেক ভাল লাগছে। তবে এখানে আসার আগে লোকেশ টা ভাল করে জেনে আসলে ভাল কারণ শিমুল বাগানে আসার দুই তিনটা রাস্তা রয়েছে। মিয়ারচর হয়ে আসলে ভাল হয়। শিমুল বাগানে পাশেই যাদুকাটা নদী দুটিই প্রাকৃতিক দৃশ্য এক সাথে উপভোগের সুযোগ রয়েছে।
বাগান মালিক রাখাব উদ্দিন বলেন, আমরা পর্যটকদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর চেষ্ঠা করছি। খাবার জন্য ক্যান্টিনকে আরও উন্নত করব এক সাথে বসে যাতে অনেক পর্যটক খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। একই সাথে আমরা উন্নত ওয়াশ রুমে ব্যবস্থা করবও খুব দ্রুত।