লাল শাপলার সৌন্দর্য রক্ষায় প্রশাসনের মাইকিং
তাহিরপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের লাল শাপলার সৌন্দর্য রক্ষায় মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নৌকাযোগে বিকি বিলের আশেপাশের গ্রামগুলোতে মাইকিং করানো হয়।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় এগিয়ে এলো তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন।
গত ১৬ অক্টোবর সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবদুল আহাদ সিলেট ভয়েসকে বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জনস্বার্থে মাইকিং করে শাপলার ডাটা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
রোববার (১৮অক্টোবর) বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষা ও জনস্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহের নির্দেশনায় কাশতাল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাতে এ নিষেধাজ্ঞা প্রচার করা হয়।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, বিকি বিলের লাল শাপলার ডাটা পার্শ্ববর্তী ২-৩টি গ্রামের কিছু লোকজন তাদের গরু-মহিষের গো-খাদ্য হিসাবে উপড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে ও জনস্বার্থে বিকি বিল থেকে ডাটাসহ শাপলা আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এই আদেশ অমান্যকারীদেরকে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরও বিকি বিলের লাল শাপলা পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। করেছে মুগ্ধও। পাহাড়ের কাছে অবস্থিত বিকি বিলের লাল শাপলার প্রেমে পড়েছিলেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। বিশাল, বিস্তৃত এলাকার বিকি বিলের লাল শাপলার মায়াজালে মোহিত হয়েছিলেন সবাই।
এজন্য গত বছরে ২১ অক্টোবর সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ ‘পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য নতুন এলাকা’ হিসেবে বিকি বিলে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। তবে এক বছর পরই সৌন্দর্য হারালো লাল শাপলা।
স্থানীয়রা গরু, মহিষের গো-খাদ্য হিসেবে বিল থেকে লাল শাপলা তুলে নিচ্ছেন। এতে জমির মালিক কিংবা প্রশাসন কেউই বাঁধা দিচ্ছে না। আর বাঁধা না পেয়েই প্রতিদিন লাল শাপলা তুলে নিচ্ছেন স্থানীয়রা। এতে লাল শাপলা হারাচ্ছে সৌন্দর্য। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পর্যটকরা। মুখ থুবড়ে পড়তে যাচ্ছিল সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন স্পট।