বিকাল ৫:৫৫,   শনিবার,   ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শাল্লায় হাওরে পানি প্রবেশ করছে, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

স্টাফ রিপোর্টার:
শাল্লা উপজেলার বাঘার হাওরে বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করেছে। কৃষকদের চোখের সামনেই ভেঁসে যাচ্ছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩ টা দিকে নদীর পানি উপচে গিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকদের ফসল। নিজেদের ফসল তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও কাঁচি হাতে নেমেছে ধান কাটতে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতার বাহিরে হওয়ায় এই বাঁধটিতে দেওয়া হয়নি কোনো প্রকল্প। শুরু থেকেই বাঘার হাওরে প্রকল্প দেয়ার দাবি জানালেও পাউবো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঘার বাঁধ এলাকায় প্রায় এক হাজার একর জমি রয়েছে। শুরু থেকেই এই এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবী জানানো হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রকল্প না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জায়গায় প্রকল্প দিয়ে সরকারের টাকা লোপাট করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দাবী করছে সার্ভে টিমের ম্যাজারমেন্ট অনুযায়ী প্রকল্প দেয়া হয়েছে। যার ফলেই এই হাওরের বাঁধটি আওতার বাহিরে।

শাল্লার দামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ১০ কেয়ার (কেদার) জমি করেছি। আর এই হাওরেই সকল জমি। আমার চোখের সামনেই সবকিছু ভেঁসে যাচ্ছে। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে চলবো এই চিন্তাই করছি।

পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্র জনি সরকার জানায়, ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর বাবার কান্না দেখে নিজেই কাঁচি হাতে ধান কাটতে আসছি। কিন্ত ধান এখনো পাকেনি। এরপরও তলিয়ে যাওয়ার চেয়ে কিছু ধান ঘরে নিতে পারলে কিছু দিনের খাবার হবে।

শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী (এসও) আব্দুল কাইয়ুৃম বলেন, আমাদের হাওর রক্ষা বাঁধ এখনো ভাঙ্গেনি। যেদিকে বাঘার হাওরে পানি প্রবেশ করেছে এটা আমাদের তালিকার বাহিরে।
আর আমাদের আওতায় যে বাঁধগুলো রয়েছে সর্বাক্ষনিক মনিটরিং করছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বাঁধ শাল্লায় নেই।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবু তালেব নিউজসুনামগঞ্জডটকমকে জানান, এখানে সরকারি কোন বাঁধ দেয়া হয়নি, এটি পরিকল্পনার বাহিরে ছিল। কৃষকরা প্রতিবছর ঝুকি নিয়েই এখানে ধান চাষ করেন তাই এবার পানি অভার ফ্লো হয়ে এই হাওরে ডুকে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে শুনেছি ৭-৮ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। আমরা তাদের বলেছি দ্রুত ধান কাটতে আর যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আমরা সহায়তার আওতায় নিয়ে আসবো।