সকাল ১০:৩৪,   বৃহস্পতিবার,   ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হঠাৎ মেয়র পদে উপ- নির্বাচন বেকায়দায় প্রার্থীরা


রেজুওয়ান কোরেশী জগন্নাথপুর :
হঠাৎ করে জগন্নাথপুর পৌর সভার মেয়র পদে উপ নির্বাচন ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বেকায়দায় পড়েছেন। নির্বাচন ঘোষণার তিন দিন অতিবাহিত হলেও প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে সরাসরি এখনো যেতে পারেননি। মাত্র দুই মাসের জন্য এ নির্বাচন আয়োজন করায় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও কম।
পৌর বাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবদুল মনাফ মেয়র নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী মেয়র আবদুল মনাফ মৃত্যু বরণ করলে ফেরুয়ারি মাসে জগন্নাথপুর পৌরসভার উপ নির্বাচনসহ তফশিল ঘোষনা করে ২৯ মার্চ ভোটগ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়।
তফসিল অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারী মনোময়ন পত্র দাখিল ৮ মার্চ প্রত্যাহারের দিন ধার্য করা হলে চারজন প্রার্থী সর্বশেষ ভোটযুদ্ধে প্রচারণায় নামেন।
প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া (নৌকা) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহমেদ (ধানের শীষ) আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রয়াত মেয়রপুত্র আবুল হোসেন ওরফে সেলিম (জগ) ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবিবুল বারী ওরফে আয়হান(মোবাইল ফোন) প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে প্রচারণায় নামেন।
নির্বাচনের সকল প্রস্তুতির পর ২১ মার্চ করেনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশনার পৌরসভার মেয়র পদে উপ নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করে। নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করতেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহমেদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রয়াত মেয়র পুত্র আবুল হোসেন সেলিম লন্ডনে চলে যান। আর বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবিবুল বারী আয়হান চলে যান ঢাকায়। একমাত্র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া এলাকায় থাকলেও তিনি গত কয়েক মাস ধরে পা ভেঙে অসুস্থ অবস্থায় আছেন। নির্বাচন ঘোষণার পর পর পৌর আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় তিনি যোগদান করে নৌকার পক্ষে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কিন্তুু পা ভাঙা থাকার কারণে সরাসরি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে পারছেন না। তবে দলীয় নেতাকর্মী ও কর্মী সমর্থকরা তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহমদ এখনো দেশে ফিরতে পারেন নি। সমর্থকরা জানিয়েছেন তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল হোসেন সেলিম লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেও পারিবারিক নানা ব্যস্ততায় সিলেট শহরে রয়েছেন। তিনি এখনো ভোটারদের কাছে আসতে পারেন নি। একইভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবিবুল বারী আয়হান ঢাকা থেকে জগন্নাথপুর এসে এখনো প্রচারণায় নামেননি। তবে সহসাই মাঠে নামবেন বলে সমর্থকরা জানান। আকস্মিক নির্বাচন ঘোষণা করায় প্রার্থীরা বেকায়দায় পড়েছেন