সকাল ১১:২৮,   সোমবার,   ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৬শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নলুয়ার হাওরে পানি আটকে মাছ শিকার ; বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কা

রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর :
জগন্নাথপুর উপজেলায় বোরো ধান আবাদের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও হাওরের অনেক জায়গায় বোরো চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। হাওর জলমগ্ন থাকায় এবার বোরো আবাদ করতে পারছেন না। ফলে বোরো আবাদ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, নলুয়া হাওরের হামহামি জলমহালের ইজাদাররা মাছ ধরার জন্য ভূরাখালি স্লুইসগেটের বাঁধ দিয়ে রাখায় হাওর থেকে পানি নামছে না। এতে নির্ধারিত সময়ে বোরো আবাদ করতে না পারায় অনেক জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভূরাখালি গ্রামের কৃষক আকিক মিয়া জানান, হামহামি জলমহালের ইজারাদাররা মাছ ধরার জন্য বাঁশ ও জাল দিয়ে (খাটি বাঁধ) দিয়ে পানি আটকে রাখায় বোরো চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি বলেন, নলুয়ার হাওরে তাঁর ছয় কেদার (৩০ শতকে এক কেদার) জমি রয়েছে। পানি থাকায় চাষাবাদ করতে
পারছেন না।
দাসনোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষক নগেন্দ্র দাস জানান, নলুয়ার হাওরে তার চার কেদার জমি রয়েছে। হাওর থেকে পানি না নামায় এবার জমিগুলো অনাবাদি থাকবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রনধীর দাস জানান, নলুয়ার হাওর জেলার অন্যতম বড় হাওর। এ হাওরে কমপক্ষে তিন হাজার হেক্টর জমি হাওর থেকে পানি না নামায় চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, নলুয়ার হাওরে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ হয়। কিছু অংশে চাষাবাদ বিঘ্নিত হওয়ায় খবর পেয়ে ইজারাদারদেরকে দ্রুত বাঁধ সরাতে বলেছি।
তিনি বলেন, এখন চারা রোপনে উপযুক্ত সময়। যদি ইজারদাররা বাঁধ খুলে না দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেব।
হামহামি জলমহালের ইজারাদার উপেন্দ্র দাসের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, হাওরে বোরো আবাদ যাতে বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।