সকাল ১১:১৯,   রবিবার,   ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীমঙ্গলে প্রথম টেস্টটিউব পদ্ধতিতে চিকিৎসা

স্টাফ রিপোর্টার:
চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রথম টেস্টটিউব পদ্ধতিতে শিশু জন্ম দেওয়ার চিকিৎসা দিচ্ছে দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টার। সিলেট বিভাগে এটিই প্রথম প্রথম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।
সন্তান জন্মদানে অক্ষম নারী পুরুষদের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করে স্বল্প খরচে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন এখানে চিকিৎসার মাধ্যমে।
দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা নিবাস চন্দ্র পাল জানান, দেশের বাইরে গিয়ে যে মানের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে, সেই মানের চিকিৎসা আমরা দীপশিখায় দিচ্ছি। এখানে যাতায়াত খরচও কম। বাড়তি পাওনা হিসেবে দম্পতিরা পর্যটন শহর ও আশেপাশের চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।


দীপশিখার চেয়ারম্যান দীপশিখা ধর জানান, তাঁর সেন্টারে ইতোমধ্যে ২৫০ বন্ধাত্ব রোগীর ফার্টিলিটি প্রমোটিং সার্জারি হয়েছে। এর মধ্যে কাঙ্খিত সাফল্য পেয়েছেন ২০০ জন। এ ছাড়া প্রতিমাসে ১২০- ১৩০ জনের শুক্রানু প্রতিমাসে পরীক্ষা করা হয়।
দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রথমে রোগীদের বন্ধাত্ব কাউন্সিলিং, হরমোন ও বীর্য পরীক্ষা এবং মেডিকেল ট্রিটমেন্ট দিয়ে শুরু করা হয় চিকিৎসা।
চিকিৎসা পদ্ধতি- শুক্রানু কম ছিল,আশা ছিল না পুরুষদের ক্ষেত্র শুক্রানু কম হওয়া এক সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। টেস্টটিউব বেবি, TESE,TESA,PESA,PESE এর মাধ্যমে দক্ষ এমব্রায়োলজিস্টের সাহায্যে অনেক পুরুষ নিজের শুক্রানুর মাধ্যমেই বাবা হতে সক্ষম বয়স বেশি, সম্ভাবনা কম দেরিতে বিয়ে ও কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে দম্পতির বয়স বৃদ্ধি নিঃসন্তান হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। টেস্ট টিউব বেবি (IVF), IUI এর মতো আধুনিক চিকিৎসা দ্বারা অনেক দম্পতি সন্তান ধারণ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
ডিম্বনালী বন্ধ মহিলাদের ক্ষেত্রে নিঃসন্তান হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিম্বনালী বন্ধ থাকা, চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন পদ্ধতি আবিস্কার হওয়ায় অপারেশন ছাড়াই মাতৃত্ব লাভের সুযোগ পাচ্ছেন অনেকে। যারা চিকিৎসা নিতে পারবেন ১. যারা আনএক্সেপ্লেইড ইনফার্টিলিতে ভুগছেন, যাদের রিপোর্ট স্বাভাবিক কিন্তু গর্ভ ধারণ করতে পারছেন না। ২.স্বামীর শুক্রানুর সংখ্যা কম হলে। ৩.স্ত্রীর ডিম্বনালীতে বাধা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে।
৪.বারবার IUI,IVF করানোর পরও গর্ভধারণ করতে ব্যর্থ হলে। ৫.প্রথম গর্ভধারণের পর আর গর্ভধারণ করতে না পারলে। ৬.অনিয়মিত মাসিক, থাইরোয়েড ডিজওর্ডার এবং প্রি ম্যাচিওর ফলিকলার রাপাচারে ভুগলে। ৭.বার বার গর্ভপাত হলে।