রাত ৩:৩৫,   রবিবার,   ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জামালগঞ্জে পাগনার হাওর এখনো অরক্ষিত,গতি নেই কাজে

আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামালগঞ্জ:
জামালগঞ্জের পাগনার হাওর এখনো অরক্ষিত রয়েছে। ফুলিয়াটানা ক্লোজারে এখনো কোন মাটি পরে নাই। জানা যায়,এই ক্লোজারটি দিরাই উপজেলাধীন ১১২ নম্বর পিআইসি। সেই সাথে একই উপজেলার হাজী বাড়ি ও মুইশা ভাঙার খালের অন্তর্ভুক্ত ১১১ নম্বর পিআইসির কাজও এখনো শুরু হয় নি।
ঐ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন না হলে জামালগঞ্জ উপজেলাধীন পাগনার হাওরের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর বোর ফসল আগাম বন্যায় থাকবে হুমকির মুখে। এদিকে জামালগঞ্জ উপজেলাধীন হাওর রক্ষা বাঁধের সুরমার তীরবর্তী ৫ ও ৬ নং পিআইসির বিচ্ছিন্ন ক্লোজার গুলি এখনো রয়েছে ফাকা।
এই পিআইসি দুটি সারেন্ডার করায় উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও পাওবোর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী পিআইসি এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ( ইউপি সদস্য) কে দ্বায়িত্ব দিলেও এখনো কাজ শুরু করে নি।
৭,৮ ও ৯ নং পিআইসির কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। ১১ নং পিআইসির গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজারের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ১০, ১২ ও ১৩ নম্বর পিআইসির কাজ এক তৃতীয়াংশের উপরে চলমান আছে। ১৩ নং পিআইসির উড়ার বন্দ ক্লোজারে বাশ পোতার কাজ চলছে। ক্লোজার বিহীন ১৪ নং পিআইসির প্রয়োজনীয় বাঁধের দৃশ্যমান অনুযায়ী অধিক বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ অপচয় করা হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষকের ধারণা। পাগনার হাওরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজার( বগলা খালি পিআইসি নং ১১) পিআইসিতে ২২ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার চেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ক্লোজার বিহীন ১৪ নং পিআইসিতে। যার অর্থের পরিমাণ ২৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ১৫ নং পিআইসিতেও প্রয়োজনের তুলনায় অর্থের পরিমাণ বেশি মনে করছে স্থানীয় কৃষকরা।
দিরাই পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী রিপন আলি বলেন, হাওরের পানি নামছে ধীরে ধীরে, তাই ফুলিয়াটানা ক্লোজারে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, কাজের গতি বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক পিআইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৪ নং পিআইসির বরাদ্দ বেশি কিনা তা যাচাই করার জন্য সার্ভে টিম পাঠানো হবে। ৫ ও ৬ নম্বর পিআইসি সারেন্ডার করায় কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। নতুন পিআইসির নিয়োগ করা হয়েছে, শিঘ্রই কাজ শুরু করবে।