রাত ১:২৯,   রবিবার,   ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে মাহফুজ চৌধুরীর উদ্যোগে সড়ক সংস্কার


দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দর্গাপাশা গ্রামের রাস্তায় নির্মিত ব্রিজের কাজ চার বছর আগে সম্পন্ন হলেও ব্রিজের মুখে মাটি ভরাটের মাধ্যমে সড়কের সাথে সংযোগ কাজ সম্পন্ন না করায় যান চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে ব্রিজটি। ফলে দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী ও যান চালকরা।
এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও সাড়া পাননি। এমন বাস্তবতায় পারিবারিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সংস্কার করছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ হাঁওর বাঁচাও আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ চৌধুরী (৫০)।
জানা যায়, দর্গাপাশা গ্রামের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের কাজ চার বছর আগে সম্পন্ন হয়। তবে ব্রিজের মুখে মাটিভরাট করে সড়কের সাথে ব্রিজের সংযোগ স্থাপন না করায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে রাস্তাটি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার দুই সহস্রাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। ধানকাটার মৌসুমে কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে পড়েন চরম বিপাকে।এছাড়া স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও মসজিদের মুসল্লিরাও এতোদিন এই রাস্তায় দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছেন।
এলাকাবাসীর এমন দুর্দশায় স্থানীয় মাহফুজ চৌধুরী ব্রিজের মুখে মাটি ভরাটের উদ্যোগ নেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী সামিহা আক্তার, সাবের চৌধুরী, তোহাদ চৌধুরী ও দোহা চৌধুরীর যৌথ অর্থায়নে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেন মাহফুজ চৌধুরী।
মাহফুজ চৌধুরীর সড়ক সংস্কারে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাগব হবে বলে জানান স্থানীয়রা। মাহফুজ চৌধুরীর সড়ক সংস্কারের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে স্থানীয় শ্যামল চৌধুরী ও সুহেল মিয়া বলেন, এই ব্রিজ নির্মাণ চার বছর আগে শেষ হলেও মাটিভরাট করে সড়কের সাথে ব্রিজের সংযোগ না করায় গ্রামবাসী অনেক দুর্ভোগে ছিলেন। মাহফুজ ভাইয়ের মাধ্যমে গ্রামবাসীর সেই দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। মাহফুজ ভাইয়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
এব্যাপারে মাহফুজ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কের এই অংশ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়ে আসলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে আমাদের গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের এই দুর্দশা দুর করতেই যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমার ভাগ্নি সামিহা আক্তার ও ভাতিজা সাবের চৌধুরী, তোহাদ চৌধুরী ও দোহা চৌধুরীর যৌথ অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্যোগ নিয়েছি। এবার গ্রামবাসীর দুর্দশা দুর হবে বলে আমি মনে করি।