রাত ১১:৩০,   শনিবার,   ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্কুল কমিটি গঠনের অভিযোগ

রেজুওয়ান কোরেশী,জগন্নাথপুর:
জগন্নাথপুর উপজেলায় সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী গত ১৬ ফেব্রুয়ারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার ১১৪ নং দক্ষিণ প্রভাকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। যার প্রেক্ষিতে কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাছুম বিল্লাহ কে দায়িত্ব দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। একই বছরের ৬ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্হাপনা কমিটির নতুন নীতিমালা করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী কমিটির সভাপতি নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। কমিটির বিদ্যুৎসাহী পুরুষ ও মহিলা অভিভাবক ও নূন্যতম এসএসসি পাশ হতে হবে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে গত ২৭ ডিসেম্বর খলিল মিয়া ও তাছলিমা বেগম কে বিদ্যুৎসাহী পুরুষ ও মহিলা মনোনীত করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। লিখিত অভিযোগকারীদের একজন একই এলাকায় বাসিন্দা শাহ জামাল জানান,কমিটির বিদ্যুৎসাহী পুরুষ ও মহিলা অভিভাবক ও এসএসসি পাস নয়। নীতিমালা লঙ্ঘন করে গোপনে এ কমিটি গঠন করা হয়। আমরা উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করি।
দক্ষিণ প্রভাকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা সুলতানা জানান,২০১৯ সালের জুন মাসে বিদ্যুৎসাহী পুরুষ ও মহিলা স্হানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন করে দেন। নভেম্বর মাসে নতুন পরিপত্র জারি। তখন নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সব কাজ করা হয়। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর অনুমোদন আমি এড়িয়ে যেতে পারি না তাই শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন করে দেয়।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাছুম বিল্লাহ বলেন, আমরা নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি গঠনের জন্য প্রধান শিক্ষক কে বলেছি। কোন ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না জানা নেই।
জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ১৬ ফেব্রুয়ারি এ উপজেলা থেকে বদলি হয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়টি আমাদের নজরে না এনে গোপন করে কমিটি অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।