সকাল ৯:২১,   বুধবার,   ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১০ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছুটির প্রভাবে বেড়েছে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, তেল ও সবজির দাম

নিউজসুনামগঞ্জ ডেস্ক:
ঈদের ছুটির প্রভাবে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, তেল ও সবজির দাম। ঈদের ছুটির জন্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সোমবার (১৭ মে) রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়, যা ঈদের আগে ৫৫০ টাকা ছিল। এছাড়া ১৪০ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন যে তেল আসছে, তার দাম বেড়েছে। তবে যেসব দোকানিরা আগের তেল স্টক করে রেখেছেন, তারা ১৪০ টাকাতেই বিক্রি করতে পারছেন।
একইভাবে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। কেজিতে ১২০ টাকা বেড়ে লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, ঈদের আগের তুলনায় কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। এছাড়া ডিমের দামও বেড়েছে হালিপ্রতি পাঁচ টাকা।
এদিকে, ঈদের পরপর মাংসের চাহিদা থাকে কম; তুলনামূলকভাবে মাছ ও সবজির চাহিদা বেশি থাকে। সেদিক বিবেচনায় সবজির মধ্যে দাম বেড়েছে কলা, পেঁপে এবং গাজরের। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কাঁচাকলা ৪০ টাকা হালি, পেঁপে প্রতিকেজি ৬০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকা দরে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি মো. শরিফ বলেন, ঈদের ছুটির কারণে গত তিনদিন ধরে শহরের কোনো সরবরাহ নেই। সে কারণে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আজ (সোমবার) সকালে তেজগাঁও ডিম আনতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। নতুন সয়াবিন তেল আসছে ১৫৭ টাকা করে। পেঁয়াজের দামও এখন ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা।

সবজি বিক্রেতা মিনহাজ বললেন, গত তিন/চারদিন ধরে বাজারে সরবরাহ কম। তবে হাতে গোনা দু-একটি সবজি ছাড়া তেমন কোনো সবজির দাম বাড়েনি।
তিনি জানান, ঈদের আগের মতই পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. হানিফ বলেন, ঈদ উপলক্ষে অন্য সময়ের তুলনায় মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেভাবে যোগান নেই। তার ওপর ‘লকডাউন’। সেজন্যই কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে মাছের বাজারে দেখা গেল, ক্রেতা-বিক্রেতা খুব বেশি নেই, তবে দাম বেশ চড়া। এখানেও সরবরাহ স্বল্পতার কথা বললেন বিক্রেতারা। রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়ি মাছসহ সব ধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।