সন্ধ্যা ৭:১৯,   মঙ্গলবার,   ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৯ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মাদ্রাসা ছাত্রীকে বালিশ চাপায় খুন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও (হাজী বাড়ি) গ্রামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৯ জুন) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও (হাজী বাড়ি) গ্রামের শয়ফুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা বেগম (১৬) প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। রাতের কোনো একসময় মেয়েটির আপন চাচা রবিউল ইসলাম (৪০) সানজিদার ঘরে প্রবেশ করে তাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়। আজ সকালে ঘুম থেকে দেরি ওঠতে দেরি হওয়া মেয়েটির কক্ষে যান পরিবারের লোকজন গিয়ে নিথর দেহ নিজ ঘরের বিছানায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দুপুরে এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, শয়ফুল ইসলামের চার ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। ওই প্রবাসী ভাই নিঃসন্তান হওয়ায় মেয়েটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো দেখতেন এবং সংসারের ভরন-পোষণের টাকা মেয়েটির কাছে পাঠাতেন।
এ নিয়ে ভাই রবিউল ইসলামের সঙ্গে তার কিছুটা বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে এসব নিয়ে বিরোধের জের ধরে রবিউল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। বাড়িতে ফিরে এ ঘটনা ঘটান মেয়েটির চাচা রবিউল ইসলাম।

নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর বড় ভাই হাম্মাদ আহমদ বলেন, আমাদের ধারণা চাচাই আমার বোনকে হত্যা করে পালিয়েছেন। তার বোন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলে তিনি জানান।
নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর মা সৈয়দা ছালেহা বেগম বলেন, ঘাতক আমার মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।