সকাল ১১:২১,   মঙ্গলবার,   ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৯ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

তাহিরপুরে হঠাৎ করে পানি বাড়ায়,গরু-মহিষ নিয়ে বিপাকে মানুষ

তাহিরপুর প্রতিনিধি:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং ভারীবর্ষণ অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীসহ সীমান্ত এলাকার সবকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে সীমান্ত এলাকা ঘেষা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে হঠাৎ করে ঢলের পানি ঢুকে পড়ায় রান্নাবান্নাসহ গবাদি পশু গরু-মহিষ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
বুধবার (৩০ জুন) ভোর থেকে মূষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১শ৭৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এলকাবাসী জানান, হঠাৎ করে পাহাড়ী ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় ভোগান্তির শেষ নাই। রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকায় ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়। এসময় রান্নাবান্নাসহ গবাদি পশু গরু-মহিষ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা নাহারুল ইসলাম বলেন, আমরা সীমান্ত এলাকার মানুষ, প্রতি বছর পাহাড়ী ঢলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়, দিনের পর দিন অনাহারে ছেলে,মেয়ে নিয়ে কাটাতে হয়, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় আমাদের খোঁজ খবর ও কেউ রাখে না।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা শাহীন মিয়া বলেন, পাহাড়ী ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়লে ভোগান্তির শেষ থাকে না। টানা বৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘরের ভিতরে পানি ডুকে পড়েছে, শুধু তাই নয় আমার গরু ও মহিষ রাখার গোয়াল ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে তাই গরু ও মহিষ নিয়ে এখন রাস্তায় আছি। এদিকে পাহাড়ী ঢলে শক্তিয়ারখলা, আনোয়ার পুর সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের সাথে তাহিরপুর উপজেলার সড়কযোগাযোগ দুইদিন ধরে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিসহ সুনামগঞ্জে আগামী আরো তিনদিন টানা বর্ষণের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে সুরমা নদীর পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এখন পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। সীমান্তঘেষা তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে হচ্ছে।