রাত ৯:৩৫,   সোমবার,   ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শাল্লায় পরকীয়ায় ধরা পরার পর আসামী ভাইস চেয়ারম্যানের জিম্মায়

শাল্লা প্রতিনিধি:
শাল্লা উপজেলার বহুল আলোচিত যুবক রামীম চৌধুরী এক নারীসহ আটক হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার কলেজ রোডে ঐ নারীর বসতভিটা থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ঘটনায় শাল্লা উপজেলা সদরে তুমুল আলোচনা চলছে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট. দিপু রঞ্জন দাস উঠে পড়ে লাগেন।
এক পর্যায়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় ভাইস চেয়ারম্যানের জিম্মায় আসামীকে ছেড়ে দেন। এই ঘটনায় চলছে নানা সমালোচনা। এই সপ্তাহেই উপজেলার এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক ছেলেকে রামীম মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনাটিও ধামাচাপা দিয়েছে একটি মহল। শাল্লার সচেতন মহলের দাবী বারবার অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ফলে শাল্লায় দিনদিন অপরাধ বেড়েই চলছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শাল্লা উপজেলা সদরের গুঙ্গিয়ারগাঁও কলেজ রোডের বাসিন্দা রামীম চৌধুরী অবৈধ সম্পর্কের জেরে রাত সাড়ে ৩টায় প্রতিবেশী এক নারীর ঘরে ডুকে যান। কিছুক্ষণ পরে রামীমের স্ত্রী বিষয়টি টের পেয়ে ঐ ঘরে গিয়ে স্বামীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এতে বাড়ীর স্বজনেরা ও ওই যুবক হুলস্তুল শুরু করেন। তাদের চেচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা গভীর রাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। পরে পুলিশ এসে ওই নারী ও রামীম চৌধুরীকে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালী রামীম চৌধুরীকে হাতেনাতে ধরার পরও ছেড়ে দেয়ার পেছনে ভাইস চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিজের স্ত্রী রেখে রামীম চৌধুরী অবৈধ সম্পর্কের জেরে প্রতিবেশী নারীর ঘরে ঢুকে ফষ্টিনষ্টি শুরু করেন। স্ত্রীর চোখে ধরা পড়ে বিষয়টি সবাই জেনে যায়। অনেকেই এসময় প্রতিবেশী নারীর ঘর থেকে রামীম চৌধুরীকে বেরিয়ে আসতে দেখেছেন।
শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রামীম চৌধুরীর স্ত্রীর সন্দেহ তার স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর অবৈধ সম্পর্ক। তাই তার অগোচরে রাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। এ বিষয়টি ধরতে পেরে স্ত্রী চিৎকার চেচামেচি করলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী ও রামীম চৌধুরীকে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সত্যতা যাছাই করার জন্য আমরা তাদের থানায় নিয়ে এসেছি।