দিরাই প্রতিনিধিঃ
দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বারোঘর জলমহাল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রুহেদ মিয়া (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মেঘনা-বারঘর গ্রুপ জলমহাল অংশের উদীর বিল নামক জলমহালকে ঘিরে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহত রুহেদ মিয়া ভাটিপাড়া ইউনিয়নের আব্দুস শহীদের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেঘনা বারোঘর জলমহালের দখলদারিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজলনূরের মধ্য বিরোধ চলে আসছিলো।
পাশ্ববর্তী উদীর বিল জলমহাল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজল নুর ও শাহ আলম দীপ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।ঘটনার দিন গ্রামের খাস জায়গায় ভাটিপড়া গ্রামের কাজল নুর গ্রুপের লোকজন কাটিবাধ দিতে গেলে জলমহাল গ্রুপের মালিক শাহ আলম দীপের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত ও ১ জন নিহত হয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন, সুয়েদ মিয়া (৪০), জসিম( ২৮), ফয়জুল (৪২), অন্তর(২০), সুজানুর(২৫), ফাহিন রহমান (৩০), মিলন(২০), নাদের মিয়া(৩৫),ওয়াছিনুর(২৫), মেহেরাজ(২০),মরি (৩০), সানোয়ার(৩৫), আকবর (৩০),আনোয়ার হোসেন(৩০)।
আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বর আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে যে কোনও ধরনের অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্হলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান নিহত ও সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।