রাত ৯:২০,   রবিবার,   ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পিছিয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের পাশে দানশীলদের দাড়ানোর আহবান ডিসি’র

স্টাফ রিপোর্টার:
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পিছিয়ে পড়া শিশু কিশোরদের পাশে দানশীল ব্যাক্তিদের দাড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেন, শুধুমাত্র সরকারি সেবা দিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নে মূলধারায় নিয়ে আসা যাবে না, এজন্য বেসরকারি সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে, আমি বেসরকারি সংগঠনের যারা আজকে আছেন তাদের অভিনন্দন জানাই এবং আরও যারা আমাদের বিত্তশালী আছেন সম্পদশালী আছেন তাদেরকে আহবান জানাই আপনারা এই পিছিয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের পাশে দাড়ান, তাদের যোগ্যতা অনুসারে আমরা লেখাপড়ার যদি সুযোগ করে দিতে পারি এবং তারা যেনো সমাজের মূলধারায় ফিরে আসতে পারে সে লক্ষে আমাদের কাজ করতে হবে। আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার এই যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের লেখাপড়ায় প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে, তেমনি সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট কোটা ঠিক করে দেয়া আছে এখন কিন্তু বিসিএসেও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা আছে৷

রোববার (২ জানুয়ারি) সকালে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক সুচিত্রা রায়ের সভাপতিত্বে ও সহ সমাজসেবা অফিসার শাহিনুর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারী নেত্রী শীলা রায়, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ফৌজি আরা শাম্মী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আলীম, কন্সালটেন্ড তাজুক হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের সুনামগঞ্জে আগে তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগে একটি অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বর্তমানে এখানে একটি সুন্দর ক্যাম্পাসে সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকারা শিশুদের শিক্ষা দিচ্ছে, এখানে একজন দানশীল ব্যাক্তি সেটির ভবণ নির্মানের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই সাধুবাদ জানাই। এমন করে প্রত্যেকটি উপজেলায় যদি এভাবে দানশীলরা এগিয়ে আসেন তাহলে প্রত্যেক উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা সম্ভব।

পরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শিশুদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও বিনা সুদমুক্ত ঋণের চেক প্রদান করা হয়, শেষে অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।