রাত ৯:২৮,   রবিবার,   ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পৃথক পৃথক কর্মসূচী পালন

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জে পৃথক পৃথক কর্মসূচী পালন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের তিনটি গ্রæপ আলাদা ভাবে কর্মসূচী পালন করেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তিদের নেতৃত্বে একটি গ্রæপ শহরের জেলা পরিষদ রেষ্ট হাউসের সামনে থেকে মিছিল বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গিয়ে পুরনরায় ঐ গিয়ে স্থানে প্রতিষ্ঠাবাষিকীর কেক কাটা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়মীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস, জেলা যুবলীগের আহŸায়ক কমিটির সদস্য সবুজ কান্তি দাস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পাবেল আহমেদ প্রমুখ।
এ দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে শহরের উকিল পাড়া থেকে আলাদা একটি মিছিল বের হয় পরে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গিয়ে ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে গিয়ে নেতা কর্মীদের নিয়ে কেক কাটা হয়। এর আগে নেতা কর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
এ ছাড়াও প্রয়াত মেয়র আয়ুব বখত জগলুলের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসেফ বখত রাদ শহরের শহরের উকিল পাড়া থেকে নিজের বলয়ের নেতা কর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উকিল পাড়ার রিভার ভিওয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নোমান বখত পলিন ও পৌর মেয়র নাদের বখত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পৃথক কর্মসূচীর ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসেফ বখত রাদ বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচীর কোনও দাওয়াত আমি পাই নি। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের স্বার্থে আমি পৃথক ভাবে নেতা কর্মীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবাষিকী পালন করেছি। এই কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কোনও দিন পরিচিতি সভার আয়োজন করেন নি। তারা তাদের আজ্ঞাবহ মানুষ নিয়ে থাকেন। পরিচিতি সভা না হওয়ার ফলে তারাও আমাকে চেনেন না। এই রকম অনেক নেতা কর্মী রয়েছেন যাদেরকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক চেনেন না। এ ছাড়াও এই কমিটির প্রায় চার বছর হয়ে যাওয়ার ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিগত চার বছরে এই কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ব্যর্থ হয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন বলেন, আমরা জেলা ছাত্রলীগ ঐক্যব্ধ আছি। সাংগঠনিক প্রতিযোগীতা বাড়ানোর জন্য পৃথক ভাবে কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এতে করে নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত হবে। জেলা ছাত্রলীগ সব সময় এক ও সংগঠিত আছে। আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই।