সকাল ৭:৩৩,   রবিবার,   ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

একুশের প্রথম প্রহরে বিভক্ত হয়ে আ.লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের বিভক্তি আবারও প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে জেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে দুই পক্ষকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে।
এ নিয়ে রোববার দিবাগত রাত (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি পক্ষ ফুল দেন। আবার অপর পক্ষ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুটের নেতৃত্বে অপর আরেকটি পক্ষকে ফুল দিতে দেখা গেছে।
ফুল দেয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ছিল চরম উত্তেজনা ও প্রতিযোগিতা। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রসাসন ফুল দেয়ার পর পরই দ্রুত জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুটের নেতৃত্বাধীন পক্ষ শহীদ মিনারে প্রবেশ করে। এরই পরই অপর পক্ষ শহীদ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার আগেই জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমানের নেতৃত্বাধীন পক্ষ শহীদ মিনারে প্রবেশ করে। শুরু হয় হট্রগোল। দুই পক্ষের সমর্থকরা তাদের নেতার নামে দিতে থাকেন শ্লোগান। প্রায় তিন মিনিট চলে জটলা। পরে কোনও ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়ারই দুই পক্ষ পৃথক পৃথক ভাবে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে চলে যায়।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগে সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খাইরুল কবির রুমেন, নোমান বখত পলিন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবিরি ইমন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, অর্থ সম্পাদক ইশতিয়াক শামীম, দপ্তর সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্বল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গোলাম সাবেরিন সাবু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মফিজুল হক, স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী সহ আরও নেতা কর্মীরা আরও নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুটের নেতৃত্বাধীন অপর গ্রুপ ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ, শংকর চন্দ্র দাস, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শীতেশ তালুকদার মঞ্জু, সদস্য অমল কর, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু আহমদ সহ আরও নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা হওয়ার কথা হতে পারে। এ কারেণেই বিভেদ প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। বর্ধিত হওয়ার পর আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে।