শান্তিগঞ্জে পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন পরিবারের দাবি করা উজির মিয়ার জানাজা সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
শান্তিগঞ্জ উপজেলার শত্রুমর্দন বাগেরকোনা গ্রামের উজির মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম নিহত উজির মিয়ার ময়নাতদন্ত করেন।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৩ টায় উপজেলার পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে বাগেরকোনা গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মৃত উজির মিয়ার স্বজনরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের দাবি পুলিশি নির্যাতনের কারণেই উজির মিয়া মারা গেছেন।
জানাজা শুরুর আগে উজির মিয়া হত্যার সুবিচারের দাবি রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) শুভাশিস ধর, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি আবুল কালাম, শান্তিগঞ্জ আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি আবদুল হেকিম, শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় যুব দলের সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু প্রমুখ।
গতকাল সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত উজির মিয়ার স্বজনরা পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগে করে ৪ ঘন্টা ব্যাপী পাগলা বাজারে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি গরু চুরির মামলার সন্দেহ জনক আসামি হিসেবে নিজ বাড়ি থেকে নিহত উজির মিয়াকে গ্রেফতার করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে জামিন পেয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ২১ ফেব্রুয়ারি উজির মিয়া নিজ বাড়িতে অসুস্থতা আরও বাড়লে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।