বিকাল ৩:৪৪,   শনিবার,   ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাঁধ উপচে হাওরে ঢুকছে পানি,ঝুঁকিতে ধান

তাহিরপুর প্রতিনিধি:
উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের হাওরের নদ-নদী পানি বৃদ্ধি পেয়ে কৃষকের হাওরে ফসল তলিয়ে যাচ্ছে ।

রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই পাহাড়ি ডলে তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফলে তাহিরপুরের গুরমার হাওরের স্থায়ী বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। বিকেলে পর্যন্ত হাওরে পানি বাড়ার কারণে এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জের বৃহত্তম দুইটি হাওর শনির হাওর ও মাটিয়ান হাওরের ধান।

জানাযায়, রবিবার সকাল ৯টার দিকে উজানের পানি বাড়তে থাকায় টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারসংলগ্ন বর্ধিত গুরমার ২৭ নং প্রকল্পের মাটি ধেবে যায় ও স্থায়ী বাঁধ (আপর) উপচে পানি ডুকতে শুরু করে হাওরে। যার কারণে গুরমা হাওর অংশের খাউজ্যাউরি, নোয়াল, আইন্যা, কলমা ও গলগলিয়া ও ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা এলাকার হাওরগুলোর ফসলেও প্রবেশ করেছে পানি।

গুরমার হাওরের স্থানীয় কৃষক মতিন বলেণ, এটা নতুন কোনো বাঁধ নয়, এটা হাওরের পাড়ে পুরোনো স্থায়ী বাঁধ। ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানি নদীতে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরে ব্যাপক পানির চাপ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে থেকে বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে।

সমাজকর্মী আহমদ কবীর বলেন, গুরমার হাওরে আপর উপচে পানি ঢুকছে। আমরা সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে আপরে বাঁশের চাটাই, বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টায় কাজ করছি। গত ১০দিন ধরে ইউএনও স্যার সহ আমরা বাঁধে দিন রাত পাড় করছি।

তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, আমি বর্তমানে শনির হাওরে অবস্থান করছি পানির চাপে বাঁধগুলো দুর্বল হচ্ছে। এ হাওরের কুমাইরা খাল স্থায়ী বাঁধ (আপর) এর নিচে ফুলফা দিয়ে পানি ডুকছে এছাড়াও ভগিয়ানীর পশ্চিমের বাঁধের অবস্থা ভালোনা।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবীর জানান, পাটলাই নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় অবস্থা এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ারসংলগ্ন বাঁধে মাটি ও বাঁশের চাটাই দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা চলছে।