সকাল ৬:৩৭,   শনিবার,   ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

লেখক, কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেনকে লেখক সম্মাননা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার:
লেখক, কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেনকে লেখক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ জুন) রাতে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে জলকন্যা সাহিত্য পরিষদ এই সম্মাননা প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। জলকন্যা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শিক্ষক ও কবি কোহিনূর বেগমের সভাপতিত্বে ও লেখক, প্রভাষক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র নাদের বখত, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, পৌর কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনি, জেলা পরিষদের সদস্য সেলিনা আবেদীন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাকু রায় চৌধুরী, কবি এসডি সুব্রত, অসীম সরকার, সমাজকর্মী ব্যাংকার আশরাফ হোসাইন লিটন, ব্যাংকার সুজাদুল ইসলাম, প্রভাষক মো. আতাউল করিম, প্রভাষক কবি ফজলুল হক দুলন,প্রভাষক দুলাল মিয়া, প্রভাষক সমিতা,লেখক মাসুদ আহমেদ প্রমুখ।

পীর মিসবাহ বলেন, আমি রাজনীতির মঞ্চে বক্তব্য দেই কিন্তু সাহিত্যের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া খুব কঠিন। আমি এসেছি একজন গুণি লেখক, কবি আমার প্রিয় সুখেন্দু সেনদাকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে এই জন্য। আমরা স্কুল জীবনে দাদাকে চিনতাম একজন ব্যাংকার হিসেবে। তিনি অবসর গ্রহণে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি শুরু করলেন। দাদার প্রথম যে বইটি বের হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক। স্বরণার্থী শিবিরে মানুষের জীবনের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। পরবর্তীতে দাদার আরেকটি বই প্রকাশ পেয়েছে। দাদার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। পাঠক যে লেখা শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত উঠা যায় না, সেটাই ভালো লেখা। দাদার লেখায় পাঠক ধরে রাখার মতো।
আমরা জিপি ফাইভ পাওয়ার জন্য যে চাপ দেওয়া হয়, ততোটা খেলাধুলা, পত্রিকা পড়ার জন্য দেওয়া হয় না। দিন দিন বইয়ের পাঠক কমে যাচ্ছে। বয়ষস্ক মানুষ ছাড়া তরুণদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। এটা খুব আক্ষেপের।

পীর মিসবাস বলেন, সুখেনদু দা নিভৃতচারী লেখক। তিনি মনের চাহিদার জন্য লেখেন। কোনো বিনিময়ের জন্য নয়। মরনোত্তর দেওয়ার চেয়ে জীবীতদের সম্মাননা দেওয়া বেশি উত্তম। এতে তাদের কর্মের সঠিক মূল্যায়ন হয়।
মেয়র নাদের বখত বলেন, সুখেন্দু দাদার মুক্তিযুদ্দের বই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।তিনি কবিতা দিয়ে সমাজের কথা তুলে ধরছেন। মেয়র বলেন, লেখালেখির মধ্যে অনেক অসচ্ছল লেখক আছেন, বই প্রকাশ করতে পারে না। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি লাইব্রেরির মাধ্যমে চেষ্টা করবো অন্তত বছরে একটা বই প্রকাশ করতে।। প্রতিটা মানুষের কাজের স্বীকৃতি আরো উৎসাহিত করে।
সুখেন্দু সেন বলেন, আমি সম্মানের সাথে সম্মাননা গ্রহণ করছি। নিশ্বার্থভাবে সাহিত্যের কাজ করে যাচ্ছেন রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু। আমি সংকুচিত হয়েও গৌরবের সাথে সম্মাননা গ্রহন করছি। পিংকুর আন্তরিকতাকে আমি সম্মান জানাই। সে সুনামগন্জের জন্য অনেক কিছু করছে। নিস্বন্দেহে এই সম্মাননা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের জল আছে জোছনা আছে। সবার সহযোগিতায় সুনামগন্জলে প্রাণের শহর কবিতার শহর হিসেবে গড়ে তুলবো।
লতিফুর রহমান রাজু বলেন, জলকন্যার পৃষ্টপোষক পিংকুকে ধন্যবাদ জানাই। সুনামগন্জের সন্তান সাংবাদিক পিংকু যাকে আজকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে তিনি একজন গুণি ব্যাক্তি। এভাবে আরও গুণিদেরকে জীবিত থাকাকালেই সম্মাননা দেওয়া উচিৎ। তাহলে সমাজে অনেক গুণিজন সৃষ্ঠি হবে।কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনি বলেন, যাকে সম্মাননা দিচ্ছেন তিনি অনেক সম্মানের ও ভালো লাগার মানুষ। আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিঙ্কু দা এমন সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
সভাপতওর বক্তব্যে কুহিনূর বেগম বলেন, জীবন সংশ্লিষ্ট সব কিছুই সাহিত্য। জলকন্যা সাহিত্য, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছে। আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক পিংকুকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনারা সবাই ভালো কাজের সাথে থাকবেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও জলকন্যার সাথে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে লেখক, কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেনকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।