নির্বাচনী বিরোধে দু-পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ আহত শতাধিক -আটক ৯
বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নির্বাচনী বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুষ সহ শতাধিক আহত হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ৩০ জনেরও বেশি গুলিবিদ্ধ রয়েছে। এদের বেশিরভাগই পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৪ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে জড়িত ৯ জনকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফের সংঘর্ষের আশংকায় ওই দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গেলে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক জাতীয় দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিনের দোয়ারবাজার প্রতিনিধি মাসুদ রানা সোহাগের উপর দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ কর্তৃক মারধরের শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের জেরে গেল দুই দিন হয় উপজেলা সদরে দুইপক্ষের উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মাছিমপুরের আমরু মিয়ার ছেলে ঈগল মার্কার সমর্থক শামীম আহমদকে একা পেয়ে নৈনগাঁও গ্রামের নৌকার সমর্থক ও স্থানীয় সাংবাদিক আশিক মিয়ার ভাতিজা আবুল মিয়া অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। সেই সাথে সাংবাদিক আশিক মিয়ার নেতৃত্বে আবুল মিয়ার সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিম পুরের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে এবং বাড়ির আসবাপত্র ভাংচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছাঁলে নৌকার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে আবুল মিয়া দোয়ারা বাজারের বাসভবনে এলে শামীম আহমদ ও তার লোকজন গতকাল রাতে কেন তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল জানতে চাইলে আবুল মিয়া ও সাংবাদিক আশিক মিয়া শামিম আহমদকে মারধর করে। সেই সাথে ঈগল প্রতীক সর্মথক করায় সাংবাদিক আশিকের বড় ভাই খালেকের নেতৃত্বে নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও শামীম আহমেদের বাড়ি ভাংচুর ও প্রাণে মারতে গেলে পূর্ব মাছিমপুরের গ্রামবাসী ক্ষেপে যায় এবং উপজেলা সদরে পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীরা সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও রয়েছেন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। অনেকেই দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল হাসান জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামতে পুলিশ ১০,রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৪ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছুড়েছে এবং সংঘর্ষে জড়িত ৯ জনকে আটক করেছে। তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।