রাত ১১:৫৭,   মঙ্গলবার,   ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ১৫ জনকে পিঠিয়ে আহত

মারারিতে আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর

নিউজসুনামগঞ্জ ডেস্ক:
ইভটিজিং এর প্রতিবাদের জের ধরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের স্বজনদের হাতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শহীদুল (১৮) আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৯ মে) সন্ধায় এ মারামারি ঘটনা ঘটে। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়্যুমের ছেলে বখাটে হাসান (২২) সম্প্রতি স্থানীয় হাজী মজিদ উল্লাহ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে উত্যেক্ত করে যাচ্ছিলো। ছাত্রীর অভিভাবকরা বখাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঐ বখাটের আপন চাচা ও স্থানীয় ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের কাছে বিচার দেন।
চেয়ারম্যান ঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দেখছি বলে বিলম্ব করেন।
বিগত ৮ মে রোববার বিকেলে ভিকটিমের বাড়ী দুলভারচর গ্রামে এসে ভিকটিম ছাত্রীর ছোট ভাই আবিদ (১৩) মারপিঠ আহত করে বখাটে হাসান। ভিকটিম ছাত্রীর পক্ষে শ্যামারকান্দি গ্রামের আত্মীয় স্বজনরা ঐ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে রোববার সন্ধায় চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ উত্তেজিতদেরকে আবারও ঘটনাটি নিস্পত্তি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।পরে কোনও ধরণের আর সমাধান দেন নি।
বখাটে হাসান ও তার বাবা আব্দুল কাইয়্যুমসহ সংগ্রামপুর গ্রামের আত্মীয় স্বজনরা আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুলভারচর পরগনার বাজারের কাছে ভিকটিম ছাত্রীর পিতা আজিজুর রহমানের দুলভারচর গ্রামের বাড়ীতে হামলা করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজিজুর রহমানের শ্যামারকান্দি গ্রামের আত্মীয় স্বজনরা তাদেরকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে আব্দুল কাইয়্যুমসহ তার আত্মীয় স্বজনরা হাতে লোহার রড,দা লাটিসহ দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে দুলভারচর পরগনার বাজারে পূর্ব পরিকল্পিত হামলা করে শ্যামারকান্দি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য মনসুর নূর চৌধুরী (৫০) ও তার ভাই আশিক নূর চৌধুরী (৪০),একই গ্রামের আব্দুল মন্নান চৌধুরীর পুত্র এরশাদ চৌধুরী (৩৮),নজির পাটানের পুত্র মকসিন (২০) কে গুরুতর আহত করে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র শহীদুল (১৮) গুরুতর আহত হন। পার্শ্ববর্তী নিয়ামতপুর ও দুলভারচর গ্রামের আরো ১৫ জন লোক আহত হন।
ঘটনার পরপরই আহতদেরকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

আহত আশিক নূর জানান,চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ কে ইভটিজিং এর ঘটনার কথা আমরা ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে অবগত করি। তিনি ঘটনাটি নিস্পত্তি না করায় তার উস্কানীতেই এই হামলার ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।

চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন,ঘটনার সময় আমি বিশ্বম্ভরপুরে এসআই আরপিনের সাথে বসা ছিলাম। ঘটনার সংবাদ জানতে পেরে আমিই পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করি।
ইভটিজিং এর ব্যাপারে আমাকে কেউ কোন কিছু জানায়নি এবং আমার কাছে কেউ বিচারপ্রার্থী হয়নি।

বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই আরপিন ও বাচ্চুর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আমরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ না করলে হয়তো পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারতো।
#
আল-হেলাল