দুপুর ২:৩২,   বুধবার,   ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

তাহিরপুরে ধান কাটা শুরু, করোনায় শ্রমিক সংকট

আবির হাসান-মানিক :
করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট আবার জনসমাগম হলে আক্রান্তের শঙ্কা অন্যদিকে আগাম বন্যার আশঙ্কা নিয়েই সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আহবানে জেলার প্রতিটি উপজেলায় হাওরের কৃষকদের উৎসাহ যোগাতে একযুগে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা সদরের উজান তাহিরপুর গ্রামের সম্মুখে শনির হাওরপাড়ে নুরুল হকের বোর জমিতে ধান কাটা শুভ উদ্বোধন করেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা ধীমান চন্দ, মনিরাজ শাহ, কৃষক নুরুল আবেদীন প্রমুখ।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েকবছরের তুলনায় এ বছর হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনাভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকট ও আগাম বন্যা না হলে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যেই হাওরের সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব।
কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি মৌসুমে তাহিরপুর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫২৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর। এবং ধারনা করা হচ্ছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভাল হওয়ায় সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে।
মাটিয়ান হাওরের কৃষক বড়দল গ্রামের মিলন মিয়া জানান, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মাটিয়ান হাওরে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে কৃষকের মুখে সোনালী ধানে সোনালী হাসির ঝিলিক ফুটবে।
মিলন মিয়া আরও জানান, তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস এবার ধান রোপণ মৌসুমে তাকে বিনামূল্যে ধানের বীজ, এমওপি ও ডিএপি সার দিয়েছিল। এ সমস্ত বীজ ও সার তার যে জমিতে প্রয়োগ করা হয়েছিল সে জমিগুলোতে অন্যান্য জমির চেয়ে ভাল ফলন হয়েছে।
শনির হাওর পাড়ের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, তিনি শনির হাওরে ১০ কিয়ার জমি (৩০ শতকে এক কিয়ার) ধান চাষ করেছেন। জমিতে সময়মত বৃষ্টিপাত, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তার জমিতে যে ধান হয়েছে। অতীতে কোন সময়ে এর চেয়ে ভাল ধান আর হয়নি।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসান উদ দৌলা বলেন, তিনি সম্প্রতি উপজেলার সবকটি হাওরের ধানের জমি ঘুরে দেখেছেন। কৃষকদের সাথে আলাপ করে তিনি খুবই আনন্দিত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এবার তাহিরপুর উপজেলার বোরো ফসল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।