সকাল ৮:৩৪,   রবিবার,   ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

তাহিরপুরে ফের বন্যা : বানভাসিদের দূর্ভোগ চরমে

আবির হাসান-মানিক, তাহিরপুর :
এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দুর্ভোগ, সরেনি বন্যার পানি এর মাঝেই নতুন করে আবারও দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়ায় বানভাসিদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল একই সাথে ভারী বৃষ্টিতে আবারও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এতে করে বন্ধ হয়ে পড়েছে উপজেলা সদরের সাথে আন্তঃসড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। অপরদিকে নতুন করে আবারও তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
যাদুকাটা নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের বেড়িবাঁধ রয়েছে হুমকির মুখে, যেকোনো সময় নদী ভাঙনের কবলে ভেসে যাওয়ার উপক্রম তৈরি হয়েছে, এমনই আশংকার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।
গত সপ্তাহের বন্যার পানি কিছুটা কমলেও বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষনে নদ নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নতুন করে বন্যায় ডুবছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছে এসব অঞ্চলের বানভাসি লোকজন। হাওরের ঢেউয়ের কবলে ভাঙছে বাড়িঘর।
যাদুকাটা, রক্তি ও পাটলাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তাহিরপুরে ২৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ১২৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানিয়েছেন, জরুরী ভিত্তিতে বানভাসীদের মধ্যে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১ মে.টন করে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান,আগামী ২/১ দিন তাহিরপুরে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। যদি ভারিবৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলেও জানান তিনি।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফের বন্যায় হাওর পরিবেষ্টিত তাহিরপুরে ভয়াবহ দূর্যোগের তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র অপ্রতুল হওয়ায় আপাতত স্থানীয় স্কুল ঘরগুলোতে বানভাসিদের আশ্রয় নিতে বলেছি। এসব বানভাসীরা গৃহ পালিত পশু নিয়েও পড়েছে বিপাকে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে বানভাসিদের সাহায্য সহযোগীতার পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে বের হয়েছি।