বিকাল ৪:২৫,   রবিবার,   ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে কোটি টাকার বালি-পাথর

তাহিরপুর প্রতিনিধি :
তাহিরপুরে গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ফাজিলপুর বালি পাথর মহালের কোটি টাকার বালি ও পাথর ভেসে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুথে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে হঠাৎ করেই রক্তি নদীর তীর ঘেষা ফাজিলপুর বালি পাথর মহালের মসজিদের পাশ দিয়ে প্রায় ১০০মিটার সড়ক পানির প্রবল ¯্রােতে চোখের পলকেই ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেই সাথে ভেসে যায় মেসার্স জাহিদ এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স জমিলা ষ্টোন ক্র্যাশারের স্টক করা প্রায় ৫০হাজার সেফটি এলসিকৃত ক্র্যাশার মেশিনে ভাঙা চুনাপাথর ও প্রায় ২০ হাজার সেফটি সিলেট বালি। এরফলে দুই ব্যাবসায়ী প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে।
জাহিদ এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, গত ৬মাস আগে ব্যাংক লোন ও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে এলসিকৃত চুনাপাথর ও সিলেটবালি কিনে স্টক করেছিলাম। কিন্তু পাহাড়ী ঢলে চোখের সামনে মুহুর্তের মধ্যেই সকল বালি ও পাথর পানির তোড়ে ভেসে চলে গেছে। এমনিতেই করোনা সঙ্কট তার মধ্যে এখন বানের পানিতে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছি। শুধু তাই নয় এখানে আমাদের যে অফিস ঘর দুটি ছিল তাও বানের পানি ও ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
জমিলা ষ্টোন ক্র্যাশারের স্বত্তাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, ২টি ষ্টিলবডির বাল্কহেড নৌকা লোড করার কথা ছিল। বানের পানি আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এখন কিভাবে ব্যাংক লোন পরিশোধ করবো, কিভাবে আবার ব্যবসা শুরু করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। গত ২দিন ধরে ২০/৩০জন শ্রমিক দিয়ে কিছু মাল উঠানোর জন্য চেষ্টা করছি। যাতে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কাটিয়ে উঠা যায়।