বিকাল ৪:২০,   বুধবার,   ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বৃদ্ধা মায়ের জন্য খাবার পাঠালেন শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার :
“করোনা সন্দেহে বৃদ্ধা মাকে ঘর থেকে বের করে দিলো ছেলেরা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা অমত্য বালা দাশের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকেলে হবিবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য সুব্রত সরকার নিয়ামতপুর গ্রামের বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বাড়িতে যান এবং ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ৪কেজি আলু, ১কেজি চিরা, ২টি সাবান, ২টি মাস্ক ও ২৫০ গ্রাম গুড় দিয়ে বৃদ্ধা মায়ের কাছে যান মেম্বার। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের দেওয়া নির্দেশনানুযায়ী মেম্বার তার ছেলেদের কঠোরভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন যেনো এ ঘটনার দ্বিতীয়বার পুনরাবৃত্তি না হয়। কিন্তু তারপর ছোট থেকে রণধীর দাস তার ঘরে মায়ের থাকার জায়গা করে দেয়।
হবিবপুর ইউনিয়নের মেম্বার সুব্রত সরকার বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের খাবার নিয়ে আমি বৃদ্ধা মায়ের বাড়িতে গিয়েছি এবং তার ছোট ছেলের বাড়িতে গ্রামবাসী সম্মতি অনুযায়ী রেখে এসেছি। আমি উনার ছেলেদের শাসন করেছি এবং বৃদ্ধা মাকে বলে এসেছি তুমার ছেলেরা খাবার না দিলে তুমার আরেক ছেলে আছে তুমি আমাকে বলবা আমি খাবার নিয়ে আসবো আপনার বাড়িতে।
উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি বৃদ্ধা মায়ের জন্য খাবার পাঠিয়েছে ও ছেলেদের কেও শাষন করে করেছি, তারা আমাকে কথা দিয়েছে মায়ের খেয়াল তারা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে নয় ছেলে সাথে মায়ের ঝগড়া হওয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু এমন ঘটনাও কেনো ঘটবে এটা ঠিক হয়নি। আমি তাদের বারবার বলে দিয়েছি বিষয়টি যেনো পুনরাবৃত্তি না হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে শাল্লা উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা অমত্য বালা দাসকে ঢাকা ফেরত গার্মেন্টস কর্মীর বাড়িতে যাওয়া করোনা সন্দেহে ঘর থেকে বের করে দেয় তার ছেলেরা। পরে দুইদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কাটিয়েছিলেন অমত্য বালা দাশ।