রাত ১০:৩২,   শুক্রবার,   ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিএনজি চালককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি : আটক ৩

দ. সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলার ইনাতনগর গ্রামের সিএনজি ড্রাইভার মখলিছ মিয়া (২৭)কে সিএনজিসহ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টায় ৩ জনকে আটক করেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর রাতে অপহরণকারীদের আটক এবং সিএনজিসহ মখলিছ মিয়াকে উদ্ধার করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, ছাতক উপজেলার আয়নাকান্দি গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম(৩২), একই উপজেলার ছৈলা বাগইন গ্রামের মৃত রশিদ আলীর ছেলে রিদওয়ান আহমদ(২২), এবং বিশ্বনাথের নভাগ গ্রামের মহিবুর রহমানের ছেলে কয়েছ মিয়া (২৩)।
সিএনজি চালক মখলিছের পরিবার সুত্রে জানাযায়, সোমবার বিকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বাজার থেকে অপহরণকারী জহিরুল ইসলাম রোগী নিয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে ড্রাইভার মখলিছকে নিয়ে সিলেটের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়। এরপর গাড়ি থেকেই অপহরণকারী তার সহযোগীদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে সংঘবদ্ধ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে ড্রাইভার মখলিসকে জিম্মি করে সিলেট মদিনা মার্কেট থেকে অজ্ঞাতনামা জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর মখলিছের মুঠোফোন থেকে তার বাড়িতে কল দিয়ে বিকাশে একলক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাছাড়া অপহরণের পর মখলিছকে বেধরক মারধর করে তার পরিবারকে আর্তনাদ শোনায়। এরপর অপহরণকৃত মখলিছের পরিবার ওই বিকাশ নাম্বার নিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশে অভিযোগ করলে থানা পুলিশের আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারীদের আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে দ. সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আলাউদ্দিন বলেন, অপহরণকৃত মখলিছের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করলে বিশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে এবং কোতোয়ালি থানার সহযোগিতায় দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজার থেকে অপহরণকারী জহিরুলকে আটক করা হয়। পরে আটককৃত জহিরুলের মাধ্যমে তার আরো ২ জন সহযোগিকে জালালাবাদ থানার ঘোপাল এলাকা থেকে আটক করা হয়।