দুপুর ১২:১৯,   বুধবার,   ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে খাদ্য সহায়তা চে‌য়ে ৩৩৩তে বিত্তশালীর ছেলের ফোন, প‌রে দুঃখ প্রকাশ

তাহিরপুর প্রতিনিধি :
করোনাভাইরাসের মহামারিতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বিপদে গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা, তাই সরকার থেকে জরুরী সেবা প্রদান করার জন্য ৩৩৩ এবং ৯৯৯ এই দুইটি নাম্বার সচল রাখা হয়েছে। সরকারের এ সেবা কত দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করে সেটি দেখার জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউ‌নিয়‌নের মোদেরগাঁও গ্রা‌মের এক যুবক ৩৩৩ নাম্বারে ফোন ক‌রে নিজেকে অসহায় পরিচয় দিয়ে খাদ্য সহায়তায় জন্য অনুরোধ করেন। ফো‌নের সূত্র ধ‌রে পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেলে দেখা যায় ঐ যুবক এলাকার বিত্তশালীর ছে‌লে।
শুক্রবার রা‌তে এ ঘটনা ঘ‌টে।
উপ‌জেলা প্রশাসন সূ‌ত্রে জানা যায় , ৩৩৩ নাম্বারে খাদ্য সহায়তা চে‌য়ে মো‌দেরগাঁও গ্রা‌মের এক যুবক ফোন দেওয়ার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয় এবং জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য বলা হয়। প‌রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেনকে সহায়তা নিতে চাওয়া পরিবারটি সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলেন। ওয়ার্ড সদস্য ঐ পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পরিবারটি স্বচ্ছল এবং বিত্তবান, তাদের কোন খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা চাওয়া পরিবারকে খাবার দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায় সেই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যুব‌কের বাড়ি‌তে যায় উপজেলা প্রশাসনের লোকজন। বাড়ির খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আসার পর যুবক ব্রিবতবোধ করে এবং সে তার ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। এসময় সে জানায় অসহায় মানুষের মধ্যে কতদ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার খাদ্য পাঠাচ্ছে, তা দেখ‌তে কৌতুহলবসত সে এ কাজ করে। ত‌বে ছে‌লের এমন কা‌ণ্ডে যুব‌কের পিতা দু:খ প্রকাশ ক‌রে ক্ষমা চান।
বাদাঘাট ইউ‌নিয়‌নের ইউ‌পি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, এ গ্রামের মধ্যে যুবক (নুরুল হক জীবনের) পরিবার বিত্তশালী, এবং তাদের কোন খাদ্য সংকট নেই। তারপরও দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে ৩৩৩ তে কল করে এমন কাজ সত্যিই দুঃখজনক।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি বলেন, ৩৩৩ তে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়ার পর আমরা জরুরি ভিত্তিতে তার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছানোর পর জানতে পারি সেই পরিবারটি গ্রামের মাঝে অত্যন্ত স্বচ্ছল ও বিত্তবান। অবশ্য পরে তাদের এমন কর্মকাণ্ডে খাদ্য সহায়তা চাওয়া যুবক ও তার পিতা দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের চাওয়া খাদ্য ফিরিয়ে না এনে এই খাবারগুলো গরীব মানুষকে নিজের হাতে দিয়ে দিতে বলেছি।