সকাল ৬:২২,   সোমবার,   ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার :
লকডাউন শিথিল করার কারণে সুনামগঞ্জে প্রায় আট শ’য়ের কাছাকাছি চলে গেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত তিন মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। কিন্তু গেল এক মাসে মারা গেছেন চার জন। আরো অনেকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
অসচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা ও নজরদারি শিথিল করায় হুহু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত্রের সংখ্যা। আশঙ্কার খবর, গেল এক মাসে সম্মুখসারির যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যসহকারি, পুলিশ ও র‌্যাবের আক্রান্ত’র সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। সম্মুখসারির যোদ্ধারা প্রতিদিন সদস্যরা মরণব্যাধি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত দুই মাস কম থাকলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলা শহরে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি শহরে এক পরিবারের ৭-৮জন এক সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সিভিল সার্জন অফিস জেলার দুটি পৌরসভাসহ ১৫টি স্পটকে রেড জোন ঘোষণা করেছে। এসব এলাকায় কার্যকর লকডাউন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে জেলার শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিতি ছাতকে হটাৎ করেই করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই সেখানে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই উপজেলায় মারা গেছেন চারজন।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা অনেক কম। মাত্র ১৪৫জন সুস্থ হয়েছেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে ৪৭জনের নমুনার ফলাফল পজেটিভ আসে। জেলায় মোট ৭৫৯জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
শহরের হাসননগর এলাকার ইসলাম উদ্দিন বলেন, গত ১৫ দিনে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আমরা আতঙ্কিত। আক্রান্তের সঙ্গে যোগ হয়েছে মৃত্যুও। এখন রেডজোন ঘোষণা করে কড়াকড়ি লকডাউন দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শাসম উদ্দিন জানান, যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের আমরা আইসোলেশনে আনার ব্যবস্থা করছি। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, জরুরি কাজ না থাকলে ঘরে অবস্থান করতে হবে, মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আমরা রেড জোন উল্লেখ করে, মন্ত্রণালয়ে লকডাউনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।