রাত ৩:২১,   শনিবার,   ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রীর লিভার দান ; সেই দম্পতিকে নিয়ে ‘বরণ উৎসব’

রেজুওয়ান কোরেশী :
স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করে ‌লিভার দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্ত্রী হ্যাপি রানি ধর। তাঁর স্বামী হলেন জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর (৪৬)। এ দম্পতিকে নিয়ে গত ৫ আগষ্ট আনন্দময়ী পূজা উদযাপন পরিষদ এর আয়োজনে বরন উৎসব পালন করা হয়েছে।
শ্রী শ্রী বাসুদেব জিউর মন্দিরে আয়েজিত উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নয়ন রঞ্জন বণিক, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনসহ আনন্দময়ী পরিষদের সকল সদস্য বৃন্দ এবং অসংখ্যক শুভানুধ্যায়ী নারী-পুরুষ। উলুধ্বনি,শঙ্খধ্বনি, প্রদীপ প্রজ্বলন ইত্যাদি সনাতনী রীতি নীতি অনুসারে বরণ উৎসব পালিত হয়।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আনন্দময়ী পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর বেশ কিছুদিন ধরে লিভারের জটিল রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পরিবারের পক্ষ থেকে ডোনার খোঁজা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি ও আইনি নানা জটিলতায় যখন তাঁর জীবন বিপন্ন হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় স্ত্রী হ্যাপি রানী ধর ঝুঁকি নিয়ে নিজের লিভার দিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গত জানুয়ারী মাসে ডা. আবিদ্বীপ চৌধুরীর নেতৃত্বে দিল্লির বিএলকে হাসপাতালে মিন্টু রঞ্জন ধরের সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়। সম্প্রতি এই দম্পতি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেন।
বরণ উৎসব এর আয়েজকের একজন অনন্ত গোপ জানান, নিজের জীবন বিপন্ন করে অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে নিজের লিভার দান করে ভালবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন হ্যারি রানী ধর।সাম্প্রতিককালে এই দম্পতি সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসার আনন্দে আমরা তাদেরকে ঘিরে বরণ উৎসবের আয়োজন করি। তাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছি আমরা ।