দুপুর ১২:২৯,   রবিবার,   ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মপাশায় কৃত্রিম সংকটে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরবেষ্টিত মধ্যনগর থানায় কৃত্রিম ডিজেল সংকট সৃষ্টি করে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার তেলের ডিপো থেকে ডিজেল সরবরাহ না থাকায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করেছেন। ফলে হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের জন্য এক্সকেভেটর ব্যবহার ও জমিতে পানি সেচ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন আগেও মধ্যনগর বাজারসহ আশপাশের বাজারে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৬৫টাকা থেকে ৬৬টাকা। কিন্তু হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে এক্সকেভেটর ব্যবহারের কারণে মধ্যনগর ও আশপাশের বাজারে ডিজেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটার ডিজেলে ৫ টাকা থেকে ১০টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে মধ্যনগর বাজারের ডিজেল বিক্রেতা শিবচান কানুর দোকানের সামনে গিয়ে দেখা যায় একটি ডিজেলের ড্রাম খালি হয়ে পড়ে আছে।
শিবচান কানু জানান, সরবরাহ না থাকায় তার দোকানে ডিজেল নেই। তিনি অতিরিক্ত দামে কখনও ডিজেল বিক্রি করেননি বলে দাবি করেন। একই বাজারের জয় স্টোরের সামনেও অর্ধখালি ডিজেলের দুটি ড্রাম পড়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে এ দোকান থেকেও বেশি দামে ডিজেল বিক্রি করা হচ্ছে।
দোকানের মালিক নুরুজ্জামান জানান, তার দোকানে ডিজেল সংকট রয়েছে। সরবরাহ না থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। এছাড়াও মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা বাজার, হামিদপুর চৌরাস্তা বাজার, সাতুর বাজার, টুকের বাজার, বলরামপুর ঢংয়ের বাজার, জনতার বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতি লিটার ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে।
মধ্যনগর বাজারের মেসার্স নাঈম এন্টারপ্রাইজের পরিচালক সুমন সরকার বলেন, ‘বোরো জমিতে সেচ ও ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের জন্য এক্সকেভেটর মেশিনের জন্য ডিজেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাচনা বাজার তেলের ডিপোতে ডিজেল না থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে এবং দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির কৃষক প্রতিনিধি মোবারক হোসেন তালুকদার বলেন, ‘অতিরিক্ত দামে ডিজেল বিক্রি করা হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষকেরা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি সত্যি হয়ে থাকলে দ্রুত দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তা না হলে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ ও চাষাবাদ বিঘ্নিত হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’