দুপুর ২:২৯,   শুক্রবার,   ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

হাওর এলাকার শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে সহায়তা করবে ইউনিসেফ

স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের এডুকেশন ইন ইমার্জেন্সি ফান্ডের আওতায় ‘অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন সম্মেলনে কক্ষে জেলা এলজিসি কো-অর্ডিনেটর মিঠু রঞ্জন দাসের পরিচালনায় ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউনিসেফ এডুকেশন অফিসার তানিয়া লাইজু সুমী, ইউনিসেফ ইমার্জেন্সি অফিসার উম্মে কুলসুম নিপুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল হক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস, স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার এস.এম. রেজাউল করিম, সিফরডি উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মোঃ বেলাল হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
সভায় এডুকেশন ইন ইমার্জেন্সি ফান্ডের উদ্দেশ্য ও সহায়তার বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ইউনিসেফ সিলেট বিভাগের প্রধান কাজী দিল আফরোজা ইসলাম।
তিনি বক্তব্যে বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ চলছে। ভবিষ্যতে হাওর এলাকার শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য ইউনিসেফের পক্ষ হতে আরও সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় নৌকা সাপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে উপস্থিতির হার বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ১৪৭৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ দিকে রয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সিএফএস আওতাভুক্ত ৩৭ টি ও এডুকেশন ইন ইমার্জেন্সি ফান্ডের আওতাভুক্ত ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।