বিকাল ৪:১৮,   বুধবার,   ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ত্রাণসামগ্রী কাঁধে : প্রশংসায় ভাসছেন হাসনাত

নোহান আরেফিন নেওয়াজ :
মরণঘাতি করোনা ভাইরাসে গৃহবন্ধী হওয়া বেকার অসহায়দের সরকারীভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন ছাড়াও অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে ও ত্রানসামগ্রী বিতরণ করছেন।
তেমনি এবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এম, এ মান্নান’র নির্দেশনায় এবং মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হাসনাত হোসাইনের উদ্যোগে ডুংরিয়া আওয়ামী লীগের অর্থায়নে ডুংরিয়া গ্রামের ৫০০ হতদরিদ্র প্রতিটি পরিবারের জন্য ১৫ কেজি চাল,১ কেজি তেল, ১ কেজি ডাল,১ কেজি পিয়াজ ও সাবান বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে ত্রানের বস্তা নিজ কাধে বহন করেন হাসনাত হোসাইন। ঠিক এই মুহুর্তের স্থীরচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন ছাত্রলীগের এক নেতা। মুহুর্তেই ছবিগুলো একজন থেকে অন্য জনের ফেসবুক ওয়ালে ছড়িয়ে পড়ে। হাসনাত হোসাইনের এ কাজের প্রশংসায় মেতে ওঠেছেন নেটিজেনরা।
জেলা যুবলীগ নেতা পাবেল আহমেদ লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ.মান্নান এম,পি মহোদয়ের নির্দেশনায় ডুংরিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আমাদের ডুংরিয়া গ্রামের ৫০০ হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, ১৫ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পিয়াজ ও সাবন আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দেই। এই মহতি কাজের মুল উদ্যোক্তা মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারী হাসনাত হোসাইন ভাই সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। এই দুর্যোগে আপনারা ও নিজ নিজ এলাকায় এগিয়ে আসুন,অসহায়দের পাশে দাড়ান।
বড়মোহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফয়সল আহমেদ লিখেছেন, অবাক হইনি! কারণ প্রিয় ভাইয়ের কাছ থেকে এমন উৎসাহ উদ্দীপনা ও আশা জাগানীয়া কিছু পাব এমন প্রত্যাশা সবসময় করি। তা আজ দেখলাম। যে সময়ে নেতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে অন্যরা অন্য কিছুতে ব্যস্ত, সে সময়ে আমাদের হাসনাত ভাইয়ের এই ছবি নিশ্চয়ই প্রসংসার দাবী রাখে। এমন মানুষ নেতা হবেনা তো কে হবে শুনি? আমাদের মন্ত্রী মহোদয় যেমন তার এলাকার মানুষের জন্য যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত, তার শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিও যে তেমনই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই ছবি!! মন থেকে শ্রদ্ধা জনাই ভাই। সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যান। শুভকামনা!!
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান তালুকদার লিখেছেন, জয় হোক, মানবতার। মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে। ধন্যবাদ প্রিয় আবুল হাসনাত ভাই।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদিকুল ইসলাম নাহিদ লিখেছেন, ছবিটিতে যে লোকটিকে দেখতে পারছেন,উনাকে সবাই কম বেশি চিনেন, উনি আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এম.এ. মান্নান মহোদয়ের একান্ত ব্যক্তিগত সচিব, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সততার ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছেন,এবং দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার রাজনীতি কে সব সময় চাংগা করে রাখেন নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে, শুধু দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা এই নয়, উনি জগ্ননাথপুর উপজেলার রাজনীতি কেও গতিশীল করে রাখছেন,উনার আচার আচরণে সকল দলের নেতা কর্মী মুগ্ধ, পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনায় গ্রামের অসহায় কেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের ধারে ধারে গিয়ে খাদ্য পৌছে দিচ্ছেন প্রিয় হাসনাত ভাই, বেঁচে থাকুন শত বছর মানবতার সেবায় ভাই, মন থেকে ভালবাসি ও শ্রদ্ধা করি কোনো লাভের আসায় নয়, ছিলাম আছি থাকবো সব সময় সুখে দুঃখে ইনশাআল্লাহ, এগিয়ে যাও দুর্বার গতীতে।
জুয়েল দাস লিখেছেন, জয় হউক মানবতার প্রতিযোগিতা হউক মানবতার,ছবিতে যে লোক কে দেখছেন উনি আর কেউ নন আমাদের প্রিয় নেতা মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত রাজনৈতিক সচিব দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আগামীর সাধারণ সম্পাদক আমাদের উপজেলা আওয়ামীলীগ পরিবার কে যিনি দেখভাল করে থাকেন সবার প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন আবুল হাসনাত।
অজয় কান্তি তালুকদার দুলন লিখেছেন,মানবতার ফেরিওয়ালা! দুঃসময়ে যারা মানুষের কাছে থাকবে না সুসময়ে সাধারণ মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখান করবে।
এভাবে আরো অনেকেই নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে হাসনাত হোসাইনের কাজেন প্রশংসা করছেন।
উল্লেখ্য, হাসনাত হোসাইন দীর্ঘদিন যাবৎ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদে থেকে সুশৃঙ্খলকে ভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছেন। আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে অপ্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে হাসনাত হোসাইন বলেন, ছবি তুলে প্রচারের জন্য আমি বস্তা কাঁধে নেই নি। নিজ দায়িত্ববোধ থেকেই তা কাঁধে নিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্তাভাজন মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনায় এলাকার অসহায় মানুষের মুখে আহার তুলে দিতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা। আমি আজীবন মানুষের পাশে থেকে তাদের সাথে মিশে যেতে চাই।